• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

ভারতে গিয়ে এমপি নিখোঁজের বিষয়ে যে তথ্য দিলেন ডিবি প্রধান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
ভারতে গিয়ে এমপি নিখোঁজের বিষয়ে যে তথ্য দিলেন ডিবি প্রধান
আনোয়ারুল আজিম আনার। ছবি : সংগৃহীত

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার। সেখানে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন। এ বিষয়ে ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি জানিয়েছে, নিখোঁজ আনোয়ারুল আজিম আনারের ভারতীয় নম্বরের সর্বশেষ লোকেশন মুজাফফারাবাদে, অর্থাৎ বিহারের দিকে।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

হারুন অর রশীদ বলেন, “গত ১২ মে দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। সেখানে গোপাল নামে পরিচিত একজনের বাসায় ওঠেন। পরদিন ১৩ মে সকালে নাস্তা করে ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় কলকাতায় গোপালের বাসায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফেরেননি।”

ডিবি প্রধান বলেন, “তখন থেকেই তার মেয়ে ও এপিএস তার মোবাইলে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারা যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। এমপির মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে যে মেসেজগুলো আসছে বলা হচ্ছে, তিনি দিল্লীতে আছেন, ওমুক-তমুকের সঙ্গে দেখা হবে। কিন্তু মেসেজগুলো এমপির পরিবার বিশ্বাস করছে না।”

হারুন অর রশীদ বলেন, “আমি বিষয়টি দুই দিন আগেই জানতে পারি। ভারতীয় একজন ভদ্রলোক এমপিরও পরিচিত, তিনি আমাকে টেলিফোন করে তাকে না পাওয়ার বিষয়টি জানান। জানার পর ভারতীয় বিশেষ টাস্তফোর্স-এসটিএফ’র সঙ্গে যোগাযোগ করি। ভারতীয় থানা পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি।”

হারুন অর রশীদ বলেন, “একটি বাংলাদেশি ও আরেকটি ভারতীয় নম্বর ছিল আনোয়ারুল আজিমের। গত ১৬ মে সকাল ৭টার দিকে তার নম্বর থেকে দুটি কল আসে। একটি আসে তার এপিএসের নম্বরে, আরেকটি ফোনকল আসে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর নম্বরে। কিন্তু তখন দুইজনের কেউই কল ধরতে পারেননি।”

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, “সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে আমাদের কাছে এসেছেন। আনোয়ারুল আজিম তার ব্যবহৃত নম্বরটি মাঝে মাঝে খুলছেন আবার মাঝে মাঝে বন্ধ করছেন। কারা কাজটি করছেন, তিনি কোনো ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন কি না, সবকিছুই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ভারতীয় পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।”

Link copied!