• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিশুর জন্মগত হৃদরোগ আছে কিনা কীভাবে বুঝবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩, ১২:০১ পিএম
শিশুর জন্মগত হৃদরোগ আছে কিনা কীভাবে বুঝবেন

মায়ের গর্ভে থাকাকালীন শিশুর হৃদযন্ত্র তৈরি ও হওয়ার প্রাক্কালে যদি কোনো প্রকার ত্রুটি হয় এবং শিশু সেই ত্রুটিযুক্ত হৃদপিণ্ড নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়, তবে তাকে জন্মগত হৃদরোগ বলে।

জন্মগত হৃদরোগের কারণ

শিশুর জন্মগত হৃদরোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে চিকিৎসকেরা কয়েকটি বিষয়কে শিশুর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করেছেন। সেগুলো হলো—

  • ডাউন সিনড্রোমের মতো জিন এবং ক্রোমোজোমের ত্রুটি।
  • গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর ওষুধ সেবন, মাদক বা অ্যালকোহলের অপব্যবহার।
  • অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর প্রথম মাসগুলোয় ভাইরাল সংক্রমণ, যেমন রুবেলা।
  • যদি মায়ের টাইপ ওয়ান বা টাইপ টু ডায়াবেটিস থাকলে।
  • জন্মগত হৃদরোগ পরিবারে অনেক জেনেটিক সিনড্রোমের সঙ্গেও যুক্ত। যেমন : মারফান সিনড্রোম, টার্নার সিনড্রোম, নুনান সিনড্রোম ইত্যাদি।
  • অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ধূমপান।

লক্ষণ

  • জন্মের পরপর মায়ের দুধ টেনে খেতে কষ্ট হয়।
  • কপালে ঘাম জমে এমনকি নীল বর্ণ ধারণ করে।
  • দুধ একটু খেয়ে ছেড়ে দিয়ে আবার টেনে খেতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
  • শ্বাস নিতে গেলে পাঁজর দেবে যায়।
  • কাঁদলে বা খেলতে গেলে নীল বর্ণ জয়ে শিশুরা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে (সায়ানোটিক স্পেল)।
  • বারবার শিশুটির ঠান্ডা, কাশি ও নিউমোনিয়া হয়।
  • একই বয়সী অন্যদের মতো শিশুটির ওজন বাড়ে না।
  • নীল বর্ণের শিশুরা একটু বড় হলে তাদের নখ উঁচু হয়ে ফুলে যায়।
  • দৈনন্দিন কাজ ও খেলাধুলা করতে গেলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
  • বুকে ব্যথা হতে পারে।

করণীয়

শিশুর জন্মগত হৃদরোগ দেখা দিলে বা সন্দেহ হলে দ্রুত শিশুকে নিয়ে হৃদরোগবিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। দেরি করলে সাধারণ হৃদরোগও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। জন্মগত হৃদরোগের অনেক ভালো চিকিৎসা এখন আমাদের দেশেই আছে। অপারেশনের মাধ্যমে বা অপারেশন ছাড়াই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এ ধরনের চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রয়োজন সচেতনতা, সঠিক সময় সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় এবং সময়মতো তার যথাযথ চিকিৎসা। তবে প্রাথমিক কিছু ধারনা রাখা ভাল।

  • মহিলাদের রুবেলা টিকা দেওয়া।
  • গর্ভাবস্থায় যথাযথ পরিচর্যা এবং ফলিক এসিডের ঘাটতি পূরণ করা।
  • গর্ভাবস্থায় রাসায়নিক পদার্থ ও তেজস্ক্রিয়তা থেকে সতর্ক থাকা।
  • গর্ভধারণের পূর্বেই ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, খিচুনি জাতীয় রোগে আক্রান্ত মায়েদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
     
Link copied!