• ঢাকা
  • বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩০, ২৩ রজব ১৪৪৬

শরীরে হরমোনের তারতম্য হয় যে কারণে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১, ১১:৩৮ এএম
শরীরে হরমোনের তারতম্য হয় যে কারণে

মানব শরীর সুস্থ রাখতে হরমোনের সমতা থাকা প্রয়োজন। শরীরের নানা সমস্যা হরমোন তারতম্যের কারণেই শুরু হয়। আচমকা ওজন বেড়ে যাওয়া বা ওজন কমে যাওয়া, চুল পড়া, ত্বকের সমস্যা, নারীদের নানা ধরনের সমস্যা হয় হরমোনের সমতার অভাবেই। সাধারণ জীবনযাত্রার অনিয়ম ও কিছু অভ্যাসের কারণেই হরমোনে তারতম্য বেশি হয়।

শরীরে হরমোনের সমতা পরিবর্তনের কারণগুলো নিয়ে জানাব এই আয়োজনে_

পুষ্টিকর খাবারের অভাব

প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়ার উপর নির্ভর করে হরমোনের সমতা। সুস্থ শরীরের জন্য় পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া জরুরি। যারা প্রচুর জাঙ্কফুড কিংবা প্রসেসড ফুড খাচ্ছেন তাদেরই এমন বিপদ হচ্ছে। এসব খাবারে পুষ্টির মান কম থাকে। অতিরিক্ত মিষ্টিজাত খাবারও সমস্যা করে। মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়। এতে হরমোনের তারতম্য দেখা দেয়। চুল পড়া ও ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়।

মানসিক চাপ

প্রতিদিন বাড়ি বা অফিসের কাজের ব্যস্ততা সামলাতে গিয়ে মানসিক চাপে ভুগছেন অনেকে। কোনো পরিস্থিতির কারণেও মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে। এ সময় হরমোনের উপর প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক চাপ হরমোনের সমতা নষ্ট করে। নেতিবাচক চিন্তা, অতিরিক্ত রাগ, উদ্বেগ হরমোনের তারতম্যের প্রধান কারণগুলো মধ্যে পড়ে।

মদ্যপান করা

অতিরিক্ত মদ্যপানে শরীরে হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। এক সময় শরীরে হরমোনের সমতা আনতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।

অপর্যাপ্ত ঘুম

পর্যাপ্ত ঘুম শরীর সুস্থ রাখে। যখনই এর ব্যাঘাত ঘটে শরীরে নানা রোগ চড়াও করে উঠে। এর মধ্যে হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও রয়েছে। যারা রাত জেগে থাকেন বা অনিদ্রায় ভুগছেন তাদের শরীরে হরমোনের সমতার চরম ঘাটতি দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুম শরীর সুস্থ রাখার শর্ত। এতে মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকে।

শরীর সক্রিয় না থাকা

সারাদিন অলসভাবে কাটিয়ে দিচ্ছেন যারা, একজায়গা অনেকক্ষণ বসে কাজ করছেন যারা তারাও  হরমোনের অসমতায় ভোগেন। হরমোন ঠিক রাখতে শরীরকে সক্রিয় রাখতে হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এটি শরীরে হরমোনের নিঃসরণ স্বাভাবিক রাখে।

পরিমিত না খাওয়া

শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাবার খেতে হবে। কম বা বেশি খাবার খেলেও হরমোনে ভারসাম্য নষ্ট হয়। অতিরিক্ত খাওয়া কিংবা সামান্য খাওয়ার কারণে ইন্সুলিনের মাত্রা ও কর্টিসলের উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে। যা শরীরের বিপাকক্রিয়ার জন্য় ক্ষতিকর। তাই বয়স অনুযায়ী স্বাস্থ্য সুস্থতায় পরিমিত খাবার গ্রহণ করুন। ক্যালরি গ্রহণের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ওষুধ

শরীর অসুস্থ হলে চিকিৎসক ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন। কিছু ওষুধের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় হরমোনের তারতম্য ঘটায়। এছাড়া প্রেসক্রিপশনে দেওয়া ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জন্য় দায়ী।

 

সূত্র: দ্য ম্যানিলা টাইমস

Link copied!