• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আবারও হত্যার হুমকি পেলেন সালমান খান


তপন বকসি
প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩, ০২:০০ পিএম
আবারও হত্যার হুমকি পেলেন সালমান খান

এবার নিজের অফিসিয়াল ই-মেইলে হত্যা হুমকি পেলেন সালমান খান। এ নিয়ে তিনবার তিনি হুমকি পেলেন তিনি। শনিবার রাতে সালমান খানের অফিশিয়াল ইমেইলে এ বার্তা পাঠিয়েছেন মোহিত গর্গ নামের এক ব্যক্তি। হুমকি পাওয়ার পরেই সালমান খানের ম্যানেজার এবং বন্ধু প্রশান্ত গুঞ্জলকর মুম্বাই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। মুম্বাই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোইসহ গোল্ডি ব্রার এবং মোহিত গর্গের বিরুদ্ধে এফআইআর গ্রহণ করেছে। গোল্ডি ব্রার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের প্রধান গ্যাংস্টার। তিনি কানাডায় থাকেন।

শনিবার রাতে সালমান খানের অফিশিয়াল ই-মেইলে যে বার্তাটি পাঠানো হয়েছে তাতে হিন্দিতে যা লেখা আছে, তার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়—গোল্ডি ভাই (গোল্ডি ব্রার) কথা বলতে চাই, তোর বস সালমানের সঙ্গে কিছু হিসাব চুকিয়ে দিতে হবে। কথা বলিয়ে দিস। কথা হবে মুখোমুখি। সেটাও বলে দিস। এখনও হাতে কিন্তু সময় আছে। তাই মনে করিয়ে দিলাম। সময় পেরিয়ে গেলে আর মনে করাবো না। তখন শুধু ঝাঁকুনি দেব।”

মেইলের ভাষা থেকেই বোঝা যায় সালমান খান সরাসরি ইমেইল দেখবেন না। সালমানের কাছে এই ইমেলের খবর যে পৌঁছাবে তার কর্মীদের মারফত, সেটা আগে ইমেইল প্রেরক আগে থেকেই জানতেন। তাই ‘তোর বসকে বলে দিস...’ বলে তাকে সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এবারের হুমকি দেওয়ার ধরনের মধ্যে একটি নতুন বিশেষত্ব আছে। এই হুমকিতে সালমানকে খুন করার কথা না বলে, তাকে বলা হয়েছে, আরও একবার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সামনা সামনি হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য।  

শনিবারেই সালমান খানকে নিয়ে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে এসেছে। সেই সাক্ষাৎকারে লরেন্স বিষ্ণোই  সরাসরি সালমান খানকে খুন করার হুমকি দিয়েছেন। লরেন্স বিষ্ণোই শনিবারের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সালমানকে খুন করাই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। এর আগে ২০২২ সালের ২৯ মে পাঞ্জাবের বিখ্যাত গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুন হয়েছিলেন বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের হাতে। একই বছরের ১৪ জুন পাঞ্জাব পুলিশের হাতে ধরা পড়েন লরেন্স বিষ্ণোই। তখন থেকে পাঞ্জাব পুলিশের হাতে বন্দি রয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই।

শনিবার রাতে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং থেকে এই ইমেইল পাওয়ার পরেই মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে সালমান খানের বান্দ্রার ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৪ জুন লরেন্স বিষ্ণোই পাঞ্জাব পুলিশের কাছে ধরা পড়ার নয় দিন আগে, ৫ জুন বান্দ্রা ব্যান্ড স্ট্যান্ডের জগিং ট্র্যাকে সকালবেলায় হাঁটতে বেরিয়ে সালমানের বাবা সেলিম খান একটি চিরকুট পান। সেই চিরকুটে সেলিম খান এবং সালমান খানকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে তাদের খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। তারপরই নিজের সিকিউরিটি পার্সোনালের সাহায্যে সেলিম খান ও সালমান খান একসঙ্গে বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে লিখিত অভিযোগ করেন। তখনও বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। 
আত্মরক্ষার্থে সালমান খান সাঁজোয়া গাড়ি ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের জন্য মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতিও পেয়েছিলেন। এখনও বাড়ির বাইরে বেরনোর সময় সালমান সেই প্রাইভেট সাঁজোয়া গাড়িতে যাতায়াত করেন।

এর আগে সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এবং নবি মুম্বাইয়ের পানভেলে সালমান খানের ফার্ম হাউসের গেটেও তাকে আক্রমণ করার ফাঁদ পেতেছিল লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যরা। সেই দুই যাত্রাতেই অল্পের জন্য তারা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কপিল পণ্ডিত, সন্তোষ যাদব, দীপক মুন্ডির মত সদস্যরা নবি মুম্বাইয়ের পানভেলের ওয়াজে অঞ্চলে সালমানকে খুন করার উদ্দেশ্যে ঘর ভাড়া করে থেকেছিল। এর আগে ২০২২-এর জুন মাসের মাঝামাঝি দিল্লি পুলিশ বিহার পুলিশ ও পাঞ্জাব পুলিশ একযোগে নেপাল বিহার বর্ডার থেকে লরেন্সের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছিল।

Link copied!