গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা দিয়ে লড়াই শুরু হচ্ছে গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি।
প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আগামীকাল ১৭ অক্টোবর (রোববার) গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এই পদ্ধতির প্রথম যাত্রা শুরু হবে।
এবার গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটে পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১০ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষার্থী। আগামীকাল বিজ্ঞান বিভাগে সর্বমোট ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০০ জন শিক্ষার্থী লড়াইয়ে নামবে।
এর আগে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে সময়সূচি জানানো হয়েছে, ১৭ অক্টোবর ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের, ২৪ অক্টোবর ‘বি’ ইউনিটে মানবিক বিভাগের এবং ১ নভেম্বর ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গুচ্ছ পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও জবির রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, “গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটভুক্ত ১০ হাজার ৯১৫ পরীক্ষার্থীর আসন নিশ্চিত করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েই এই সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কোনো আসন বিন্যাস করা হয়নি।”
মো. ওহিদুজ্জামান আরও বলেন, “যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক থাকবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য সকল ভবনের প্রবেশমুখে বিএনসিসিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণ থাকবেন।”
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করবেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জবি প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, “শিক্ষার্থীরা যেন সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য আমরা সব রকম ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষার জন্য আমাদের প্রশাসন শতভাগ প্রস্তুত। পরীক্ষার দিন যেন কোনো প্রকার ঝামেলার সৃষ্টি ও যানজট না হয় এজন্য আমরা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আশপাশে যতগুলো থানা আছে তাদেরও বলা হয়েছে। পরীক্ষা ঘিরে কোথাও অপ্রীতিকর কোনো কিছু ঘটলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, “শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ নজর রাখবো। মূল ফটক থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। একটি বেঞ্চে একজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হবে। পরীক্ষার্থীদের যেন কোনো ভোগান্তি না হয়, আমরা সেভাবেই সকল প্রস্তুতি নিয়েছি।”
