• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

স্ত্রীকে শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার


রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
স্ত্রীকে শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার স্বামী রুবেল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় স্ত্রীকে শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী রুবেল হোসেনকে (২৮) আটক করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস।

এর আগে, সোমবার রাত ১১টার দিকে রাজশাহী শহরের উপকণ্ঠ মাসকাটাদিঘি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। রুবেল হোসেন সেখান থেকে ভারতে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

রুবেল হোসেন রাজশাহীর বাগমারার গনিপুর ইউনিয়নের বাগমারা পূর্বপাড়া গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে। পেশায় নির্মাণশ্রমিক।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে নিজ বাড়িতে খুন হন রুবেল হোসেনের স্ত্রী ঝর্না খাতুনকে (২৪) শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যার পর রুবেল পালিয়ে যান।

ঝর্না খাতুন উপজেলার বুজরুকৌড় গ্রামের আলিমুদ্দিনের মেয়ে। সাত বছর আগে রুবেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। তাদের একটি ছেলে আছে।  

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্ত্রী ঝর্না খাতুনকে হত্যার পর রুবেল হোসেন পালিয়ে উপজেলার মোহনগঞ্জ এলাকায় পরিচিত একজনের বাড়িতে যান। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর রাজশাহী শহরে বন্ধুর বাসায় যান। সেখানে তার এক আত্মীয়ের পরামর্শে মহানগরের মাসকাটাদিঘি এলাকায় অবস্থান নেন। তারপর সেখান থেকে পাশের দেশ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন রুবেল হোসেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত ১১টার দিকে তাকে আটক করে।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল হোসেন জানিয়েছেন, তিনি একজন মাদকাসক্ত। সংসার চালানোর জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়েছেন। এসব নিয়ে মানসিকভাবে অশান্তিতে ছিলেন। এছাড়া রুবেল  অন্য কারোর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে পারিবারিক বিবাদও লেগেই থাকত। কয়েক দিন আগে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। কয়েক দিন পর তিনি শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আবারও স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসেন। এসবের জের ধরে রোববার ভোরে স্ত্রীকে হত্যা করেন। এর আগে পাশের কক্ষে থাকা মা ও বোনের ঘরে তালা দিয়ে আটকিয়ে রাখেন, যাতে তারা বের না হতে পারেন।

হত্যার পর দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তিনি।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝর্নার ভাই বাদী হয়ে রুবেলকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় একটি মামলা করেন। আসামি রুবেলকে আটকের খবর পেয়েছেন, তবে র‌্যাব এখনো হস্তান্তর করেনি। হস্তান্তর করা হলে তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

Link copied!