• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বন্দি ইসরায়েলি তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব হামাস যোদ্ধার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ০৫:০৮ পিএম
বন্দি ইসরায়েলি তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব হামাস যোদ্ধার

বন্দি এক ইসরায়েলি তরুণীর প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের এক যোদ্ধা। ওই যোদ্ধা তাকে বিয়ের আংটিও দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক সাক্ষাৎকারে ওই তরুণী এসব তথ্য জানিয়েছেন।

টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নোগা ওয়েইস নামের ওই তরুণী হামাসের হাতে বন্দি ছিলেন। ৫০ দিন পর গত বছরের নভেম্বরে বন্দি বিনিময়ের সময় তিনি মুক্তি পান।

বৃহস্পতিবার চ্যানেল ১২ নামে এক ইসরাইলি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। জানান, এক হামাস যোদ্ধা তার প্রেমে পড়েন। এরপর তাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন।

নোগা বলেন, “বন্দিত্বের ১৪তম দিন তিনি (হামাস যোদ্ধা) আমাকে একটি বিয়ের আংটি দেন। মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি তার সঙ্গেই থাকতাম।” 

নোগা আরও বলেন, “তিনি আমাকে বলতেন, সবাইকেই মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু আপনি এখানে আমার সঙ্গে থাকবেন এবং আমার সন্তানদের লালন করবেন।”

গত বছরের ৭ অক্টোবর নোগার পাশাপাশি তার মা শিরিকেও বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস। কিন্তু মা ও মেয়েকে আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা হয়। নোগা জানান, কয়েকদিন পর তাদের একত্র করা হয়।

সাক্ষাৎকারে নোগা বলেন, “এক হামাস সদস্য বলেন, তিনি আমাকে ভালবাসেন। আমাকে বিয়ে করতে চান। আমার মাকে আমার কাছে আনা হবে। যাতে তিনি বিয়ের অনুমতি দেন। এরপর আরবদের পোশাকে এক নারীকে আমার কাছে আনা হয়। আমি চিনতে পারি, তিনি আমার মা। আমি ভেবেছিলাম, তারা তাকে মেরে ফেলেছে। কিন্তু না, তিনি বেঁচে আছেন।”

নোগা জানান, হামাস যোদ্ধার বিয়ের প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি। তিনি বলেন, “তার প্রস্তাবে আমি হাসির ভান করেছিলাম। মেয়ের সঙ্গে হামাস যোদ্ধার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি মাও।”

এরপর ২৫ নভেম্বর ইসরায়েলের সঙ্গে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দেয় হামাস। তাদের সঙ্গে নোগা ও তার মা শিরিকেও মুক্তি দেওয়া হয়। 

Link copied!