• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

গরমে কদর বেড়েছে তালের শাঁসের


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৩, ০৮:৫২ এএম
গরমে কদর বেড়েছে তালের শাঁসের

যশোরে গরমে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর। একটু স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে ফুটপাতে বিক্রি হওয়া রসালো এই ফলের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকে। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এই ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এর বেশির ভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় এটা খেলে দ্রুত শরীরে পানিশূন্যতা দূর হয়।

যশোরের শার্শা, বেনাপোল, বাগ আঁচড়া ও নিজামপুর বাজারসহ বিভিন্ন ছোট-বড় বাজার কেন্দ্র ও প্রধান সড়কের আশপাশে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।

ফুটপাতে দাঁড়িয়ে পরিবারের সবার জন্য তালের শাঁস কিনেছিলেন নিজামপুর এলাকার বাসিন্দা আবু মুছা। তিনি বলেন, “বর্তমানে ফরমালিন বা কেমিক্যাল ছাড়া কোনো ফল পাওয়া মুশকিল। সেখানে তালের শাঁস সর্বোৎকৃষ্ট। কোনো ধরনের ভেজাল নেই।”

তালের শাঁসের খুচরা বিক্রেতা মুজিবুর জানান, দীর্ঘদিন ধরে তালের শাঁস বিক্রি করছেন তিনি। আগে এক-দুই টাকায় তালের শাঁস বিক্রি করলেও এখন ১৫ টাকা প্রতিটি বেচাকেনা হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক তিন-চার শ টাকা লাভ থাকে। গরম যত বাড়ে তালের শাঁসের চাহিদাও বাড়ে। গাছ থেকে তালের কাদি কেটে তা আবার নামানো, বাজারে বয়ে আনা, তারপর কাটাকুটি করে তবেই ক্রেতার হাতে দিতে হয়। কষ্ট হলেও বেশ লাভ হয়।

উপজেলার নিজামপুর বাজারে তালের শাঁস বিক্রেতা লিয়াকত আলী জানান, প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ কাঁদি (ছড়া) তাল বিক্রি হয়। তালের মৌসুম এলে এ এলাকার তিনিই শুধু তাল বিক্রি করেন। কেউ একটু তরল, আবার কেউ একটু শক্ত শাঁস পছন্দ করেন। যদিও এতে অনেক শ্রম দিতে হয়।

এ প্রসঙ্গে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, তীব্র গরমে শরীর ও পেট ঠান্ডা রাখে তালের শাঁস। তালের শাঁসে রয়েছে আয়োডিন, খনিজ, পটাশিয়াম, জিংক ও ফসফরাস। বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে তালের শাঁস নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

Link copied!