• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

তুরস্কে ভূমিকম্প: খোঁজ মিলছে না বগুড়ার রিংকুর


বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৯:০৫ পিএম
তুরস্কে ভূমিকম্প: খোঁজ মিলছে না বগুড়ার রিংকুর

তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিকম্পের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বগুড়ার গোলাম সাঈদ রিংকু।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রিংকুর ছোট ভাই রিফাত হাসান তার নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজ বগুড়ার গোলাম সাঈদ রিংকুর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ছেলের সন্ধানে প্রহর গুনছে বাবা-মাসহ স্বজনেরা।

রিংকু বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইলের দেওনাই গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে। ২০১৫ সালে স্কলারশিপ নিয়ে তিনি তুরস্কে যান। সেখানে কারামানমারাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট-টাইম চাকরি করতেন রিংকু।

রিংকুর স্বজনরা জানান, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খাহরামানমারাসে রিংকু বসবাস করতেন। ভূমিকম্পের পর থেকে কেউ তার খোঁজ পাচ্ছিলেন না। বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

রিংকুর ছোট ভাই রিফাত হাসান বলেন, “বারবার কল দিচ্ছি কোনো সাড়া পাচ্ছি না। আমরা দূতাবাসেও খোঁজ নিয়েছি। সেখান থেকেও এখন পর্যন্ত কিছু জানাতে পারেনি।”

বড় বোন জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “২০১৫ সালে তুরস্কে যায় রিংকু। এরপর ২০১৭ সালে একবার এসেছিল। করোনার কারণে এখনও অনার্স শেষ হয়নি। আর কিছু দিনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। এখন সব শেষ “

ছেলের খোঁজ না পেয়ে শোকে মুহ্যমান মা সালমা খাতুন। কোনো কথা বলতে পারছেন না। সালমা খাতুন বলেন, “এখন সব শেষ। সরকারের কাছে আমার চাওয়া ছেলে যে অবস্থায় থাক, আমরা যেন তাকে কাছে পাই।”

নিখোঁজের বাবা গোলাম রব্বানী বলেন, “আমার আর কিছু বলার নেই। আল্লাহ, আমার ছেলেকে যেন ফিরে পাই, এটাই চাওয়া।”

রিংকুর নিখোঁজ হওয়ার খবরে অন্য আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশিরাও শোকে মুহ্যমান। তাদের সবার চাওয়া রিংকুকে যেন আবার দেখতে পান তারা।

ফুফাতো ভাই খায়রুল ইসলাম বলেন, “২০১৫ সালে রিংকুকে পড়ালেখার জন্য মামা সব শেষ করছে। জমি-জমা বিক্রি করে তাকে লেখাপড়ার জন্য বিদেশ পাঠিয়েছে। সোমবার থেকে ওর সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে পারছে না। আমাদের আশা ভাইটা যেন বেঁচে থাকে। একান্তই যদি তাকে জীবিত না পাই, অন্তত তার মরদেহ যেন ফিরে পাই। সরকার যেন তার দেহ ভালোভাবে আমাদের কাছে আনার ব্যবস্থা করে।” 

Link copied!