• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শার্শায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩, ০৩:২০ পিএম
শার্শায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ

যশোরের শার্শায় উপজেলায় লাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। রোগটিকে অনেক খামারি বসন্ত বলেও ধারণা করছেন। রোগটি মশা বা মাছির মাধ্যমে আক্রান্ত পশু থেকে সুস্থ পশুর শরীরে ছড়াচ্ছে।

এদিকে রোগটি উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আকার ধারণ করলেও মাঠে দেখা যাচ্ছে না প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ফলে গ্রামের কিছু হাতুড়ে পশু ডাক্তার দিয়ে চলছে চিকিৎসা। এতে গরু সুস্থ না হয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অভিযোগ রয়েছে সংবাদ দিলেও প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে কোনো সুফল মেলেনি খামারিদের।

উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের গরুর খামারি আব্দুর রশিদ জানান, তাদের খামারের একটি বড় গরুর পা ফুলে সারা গায়ে ফোসকা বের হয়েছে। বড় গরুটির অবস্থা খুবই খারাপ। শরীর পচে গর্ত হয়ে গেছে। সাড়ে আট হাজার টাকা খরচ করেও সুস্থ হয়নি গরু।

উপজেলার খামারি মিলন বলেন, “আমার একটি বাছুর গরুর সমস্ত শরীরে গোটার মতো ওঠে। কিছুদিন পর গোটাগুলো গর্ত হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে বাছুরের সমস্ত শরীরের পশম পড়ে যায়।”

একই গ্রামের আসাদুল মোল্লা বলেন, “গরম আসার পরেই আমার গরুগুলোর শরীরে প্রথমে গোটা ওঠে। পরে গলা ফুলে যায়, মুখ দিয়ে লালা পড়ে, কোনো কিছু খেতেই পারছে না। সঠিক চিকিৎসা না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছি।”

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, গরুর লাম্পি স্কিন রোগটি এখন জাতীয় সমস্যা। সারা দেশে এ রোগ বিস্তার লাভ করেছে। গরুর গায়ে গুটি গুটি ফোড়ার মতো হয়ে পেকে পুঁজ বের হয়। একটি গরু সুস্থ হতে প্রায় দুই মাস সময় লাগে।

ডা. বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল আরও বলেন, “অসুস্থ গরুটিকে প্রথমেই আলাদা করতে হবে। মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে, যাতে মশা বা মাছি গরুর শরীরে না বসে। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আমরা ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।”

Link copied!