• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ফের বাসে ডাকাতি, নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
ফের বাসে ডাকাতি, নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ফের বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে বুধবার (২১ মে) ভোর ৫টা পর্যন্ত একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডাকাত দল যাত্রীদের সব কিছু লুটে নেয়। এসময় বাসে থাকা নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে ডাকাতরা।

বাসের চালক ও যাত্রীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল, আশুলিয়া থেকে কিছু যাত্রী ওঠে। প্রায় ১০ জন নারীসহ ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা অতিক্রম করে।

যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের সংযোগ সড়কের কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর যাত্রীবেশী ৮-১০ জন ডাকাত ছুরি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালকের কাছ থেকে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে তারা যাত্রীদের ও বাসের চালকসহ সকলের চোখ, মুখ বেঁধে ফেলে। যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের গোলচত্বর এলাকায় গিয়ে বাসটি ঘুরিয়ে আবার ঢাকার দিকে চলতে থাকে। চলাচলের সময় প্রত্যেক যাত্রীকে তল্লাশি করে মুঠোফোন, নগদ টাকা, সোনার গহনা এবং অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়। তারা বাসটি নিয়ে সাভারের চন্দ্রা-আশুলিয়া পর্যন্ত যায়। পরে রাতভর কয়েকবার বাসটি নিয়ে ওই এলাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত চক্কর দেয়।

বাসের চালক আবেদ আলী জানান, সারা রাত বাসটি নিয়ে ডাকাতরা ৪ থেকে ৫ বার টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-আশুলিয়া যাওয়া আসা করে। পরে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় বাসটি রেখে ডাকাত দল চলে যায়। এরপর বাসের যাত্রীরা সকালে টাঙ্গাইল সদর থানায় যান। 

বাসের যাত্রী মিনু মিয়া বলেন, “বাসের যাত্রীদের সবার চোখ বাঁধা ছিল। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় বাসটি রেখে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে আমরা যাত্রীদের নিয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় আসি।”

আরেক যাত্রী আকাশ মিয়া জানান, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নারী যাত্রীদের তল্লাশির সময় শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। সবার চোখমুখ বাঁধা ছিল। যার যা কিছু ছিল সব নিয়ে যায়।  

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহমদ বলেন, “রাত ৮টার দিকে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। সাভারের জিরানি আসার পর ৮-১০ জন ডাকাত যাত্রীদের চোখ মুখ বেঁধে তাদের কার্যক্রম চালায়। ডাকাত দল দুই-তিনবার বাসটি নিয়ে সাভারের চন্দ্রা-আশুলিয়া পর্যন্ত যায়। পরে টাঙ্গাইল শহরের বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় বাসটি রেখে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই বাসের যাত্রী মিনু মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ডাকাত দলকে চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।”

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ইউনিক রয়েলস নামে একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি সারা দেশে আলোচিত হয়।

Link copied!