সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় অর্থলাখ সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কার্যক্রম চলছে। নারী, পোষ্য ও জেলা কোটাসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
এই মুহূর্তে নতুন নিয়োগবিধি অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এটি শেষ হতে আরও এক মাসের মতো সময় লাগতে পারে। এরপরই সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা (নিয়োগ) এস এম মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের নতুন নিয়োগবিধি নিয়ে কাজ চলছে। একই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। নিয়োগ বিধি চূড়ান্ত হওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’
নতুন নিয়োগবিধি চূড়ান্ত হওয়ার কত দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘খুব বেশি সময় লাগবে না। বিধি প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ৮ হাজার ৪৩টি শূন্য পদ রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় এ সংখ্যা ১০ থেকে ১২ হাজার হতে পারে। এ ছাড়া ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় ৪৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
জানা গেছে, জানা যায়, ২০০৯ সালে একটি মামলার কারণে সারা দেশে পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণ বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৪ সালে এ মামলার নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু একই বছর প্রধান শিক্ষকের পদ দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। এতে ওই পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়টি চলে যায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে। ফলে আবার বন্ধ হয়ে যায় পদোন্নতির মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ।পরে ২০১৭ সালের ২৩ মে থেকে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারী শিক্ষকদের।
পরবর্তী সময়ে নানা জটিলতা পেরিয়ে ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট লক্ষ্মীপুর জেলার তিন উপজেলার সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় পদোন্নতি কার্যক্রম। একই সবছরের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ১৯ উপজেলায় ৯৪১ জন সহকারী শিক্ষক পদোন্নতি পান। এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৫০ শতাংশ চাকরিকাল গণনাসংক্রান্ত মামলায় ফের আটকে যায় পদোন্নতি কার্যক্রম। এই সমস্যা সমাধান করে প্রায় ৪০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।