• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬

‘ও কীভাবে আটকে রাখবে’, মুখ খুললেন নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম
‘ও কীভাবে আটকে রাখবে’, মুখ খুললেন নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। বর্তমানে তিনি কারাগারে। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, এক নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে নোবেল নির্যাতন ও ধর্ষণ করছিলেন। ওই নারীর পরিবারের ৯৯৯-এ ফোনের পর তাকে উদ্ধার এবং নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে পরিচয় হয় ইডেন কলেজের এক ছাত্রীর। এরপর তাদের মাঝে মাঝে যোগাযোগ হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে দেখা করার পর ওই ছাত্রীকে ‘স্টুডিও দেখানোর’ কথা বলে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান নোবেল। সেখানে তাকে আটকে রাখা হয়। ওই সময় ছাত্রীটির ফোন ভেঙে ফেলা হয়, তাকে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়, এমনকি ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল। সাত মাস ধরে ছাত্রীটি ওই বাসায় বন্দি ছিলেন। 

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে একজন নারীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নামাতে দেখা যায়। ওই ভিডিও দেখে ছাত্রীর পরিবার তাকে চিনে ফেলেন এবং টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন।

নোবেলকে ডিভোর্স দিয়েছেন সালসাবিল! - নিরাপদ নিউজ

১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে সেই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। অভিযানের সময় নোবেল পালিয়ে যান, তবে প্রযুক্তির সহায়তায় রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এদিকে নোবেলকে গ্রেপ্তারের পর মুখ খুলেছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল। যদিও এই ঘটনায় পরোক্ষভাবে গায়কের পক্ষই নিয়েছেন তিনি। সালসাবিল মনে করেন, সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে কাউকে জোরপূর্বক ৭ মাস আটকে রাখা যায় না। 

এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সালসাবিল লিখেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার বিভিন্ন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কিছু সত্য, আবার অনেকটাই ভ্রান্ত ও উদ্দেশ্যমূলক। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছড়ানো সব কথাই আমার বলা নয়।’

এরপর নোবেলের মামলার প্রসঙ্গ টেনে তার প্রাক্তন স্ত্রী বলেন, ‘আর কেউ যদি মনে করেন, এই মোবাইল ও প্রযুক্তির যুগে কাউকে সাত মাস ধরে জোরপূর্বক আটকে রাখা বা এমন অপরাধ সংঘটিত করা সম্ভব— তাহলে সেটি বাস্তবতাবিরুদ্ধ ও সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও হাস্যকর একটি ধারণা।’

এর আগে গণমাধ্যমে সালসাবিল বলেন, ‘নোবেলের সঙ্গে আমার অনেক দিন দেখা হয় না ঠিক, কিন্তু ফোনে কথা হয়। আর যে অভিযোগ শুনলাম, ‘সাত মাস ধরে নোবেল আটকে রেখে ধর্ষণ’- আসলে ওর সঙ্গে সাত মাস কারও পক্ষে থাকা সম্ভব এটা আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ ও নেশাগ্রস্ত, তাহলে সে কীভাবে কাউকে আটকে রাখবে?’

নোবেল মাদকাসক্ত উল্লেখ করে তার প্রাক্তন স্ত্রী বলেন, ‘সে দীর্ঘদিন রিহ্যাবে ছিল। তারপর ছাড়া পেয়েছে। এরপর আমার সঙ্গে কথা হতো, কিন্তু ওর সঙ্গে যে কেউ থাকত, সেটা আমি জানতাম না। যেহেতু মামলা হয়েছে, ধর্ষণের- এখন আদালতে প্রমাণ হবে সত্য-মিথ্যা, আমাকেও সেভাবে অপেক্ষা করতে হবে।’

Link copied!