• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

আইপিএল জুয়াড়ি সন্দেহে চারজন গ্রেপ্তার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
আইপিএল জুয়াড়ি সন্দেহে চারজন গ্রেপ্তার
ছবি: প্রতীকী

প্রতিবছর ভারতে আইপিএল শুরু হলে সক্রিয় হয়ে ওঠে জুয়াড়ি চক্র। তাদের রুখতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে দেশটির পুলিশ। তবে নিরাপত্তাবাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে  নিজেদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে জুয়াড়িরা। সম্প্রতি আইপিএলের দুটি ভেন্যুর অভিজাত বক্স থেকে চার সন্দেহভাজন বুকিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হিন্দুস্থান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দুর্নীতি দমন শাখার সদস্যরা দুটি ভেন্যু থেকে দু’জন করে সন্দেহভাজন বুকিকে খুঁজে বের করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

গত ২৮ মার্চ দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালসের হোম ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচে একটি কর্পোরেট বক্স থেকে দুই সন্দেহভাজনকে ধরা হয়েছে। আবার ১ এপ্রিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে রাজস্থান রয়্যালসের অ্যাওয়ে ম্যাচে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আরও দুই সন্দেহভাজন বুকিকে প্রেসিডেন্ট বক্স থেকে ধরা হয়।

গত ১ এপ্রিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আরও দুই সন্দেহভাজন বুকিকে প্রেসিডেন্ট বক্স থেকে ধরা হয়।

বেটিংয়ের কাজে বুকিরা নানা পথ অবলম্বন করেন। অনেক সময়েই সরাসরি স্টেডিয়ামে পৌঁছে যায় তাদের প্রতিনিধিরা। সময়ের অপচয় কম করতে। মাঠে এবং টিভি বা মোবাইলে সরাসরি সম্প্রচার—এই দুইয়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ২৭ থেকে ৩০ সেকেন্ড। এটি পিচ-স্লাইডিং নামে পরিচিত। জুয়াড়িরা প্লেয়ার এবং কর্মকর্তাদের কাছেও পৌঁছে পেতে পারেন।

আইপিএলে বেটিং কাণ্ড নতুন কিছু নয়। ২০১৩ সালে একটি স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে টুর্নামেন্টটির ভিত একেবারে নড়ে গিয়েছিল। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দিল্লি পুলিশ রাজস্থান রয়্যালসের তিন খেলোয়াড় -এস শ্রীসন্থ, অজিত চান্ডিলা এবং অঙ্কিত চৌহানকে গ্রেপ্তার করেছিল। সেই সময়ে ১১ জন বুকিকে আটক করা হয়েছিল।

তদন্তের পরে খেলোয়াড়দের আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংসকে দুই বছরের জন্য লিগ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।

Link copied!