• ঢাকা
  • বুধবার, ২২ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী চরণতলার পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত


শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ১, ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী চরণতলার পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত

পূজা অর্চনা, পাঠা বলি আর জমজমাট নানা ধরনের খেলনার বাহারি দোকানের পসরার সমাহারের মধ্যে দিয়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর বিষ্ণুপুর গ্রামে ঐতিহ্যবাহী চরণতলার একরাত্রি-একদিনের কালী পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল থেকে বুধবার (১ মে) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ মেলা দেখতে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে হাজার হাজার আদিবাসী সনাতন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্ত এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ভিড় করেছেন।

মেলায় নানান খেলনা, মুখরোচক খাবারের দোকান, পূজা-অর্চনার আসবাবপত্র, মেয়েদের নানা পাহাড়ি গয়নার দোকানসহ শিশুদের বিনোদনের জন্য নানান রাইডস বসানো হয় । তবে এক সময় শুধুমাত্র নাগরদোলা বসানো হতো এই মেলায়।

স্থানীয় অবিনাশ মারাক বলেন, “এক সময় এ মেলায় প্রায় এক হাজার মহিষ ও পাঠা বলি করা হতো। এখন সেই আগের জৌলুস নেই। এখন কেবল শতাধিক পাঠা বলি হয়ে থাকে। কালেভদ্রে কোনো কোনো বছর মহিষ বলি হয়।”

নির্মল চক্রবর্তী নামের একজন বলেন, “প্রতি বছর বৈশাখ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের প্রথম মঙ্গলবার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকার বিষ্ণপুর গ্রামের চরণতলায় শ্মশান কালীপূজা ও মেলা ২০০ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কালের ব্যবধানে এখন চরণতলার মেলাটি স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম পাহাড়ি জনতার মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।”

স্থানীয় সুভাষ মোদক বলেন, “বিষ্ণপুর গ্রামের এই এলাকাটি ‘চরণতলা’ নাম হওয়ার পেছনে একটি কাহিনী রয়েছে। এই গ্রামে ‘চরণ হাজং’ নামে এক গৃহস্থ ছিল। সে প্রতিদিন গায়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী পাড়ি দিয়ে ওপাড়ে তার মেষ চড়াতে যেতেন। একদিন ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে দ্রুত মেষগুলোকে পাড় করে সে নিজেও নদী পার হতে চেষ্টা করেন। কিন্তু নদীর পানির প্রবল স্রোতে চরণ হাজং তলিয়ে যান। সেই থেকেই এই জায়গাটির নাম ‘চরণতলা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।”

Link copied!