• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিফার রায় ত্রুটিপূর্ণ ও অনুমাননির্ভর, দাবি বাফুফের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৩, ০৫:০৯ পিএম
ফিফার রায় ত্রুটিপূর্ণ ও অনুমাননির্ভর, দাবি বাফুফের
ছবি: সংগৃহীত

দুই বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবলীয় কার্যক্রম থেকে বাফুফে সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করেছে  ফিফা। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সেখানে সোহাগকে নিষিদ্ধ করার রায়কে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ও ‘অনুমাননির্ভর’ বলে দাবি করেছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বিবৃতিতে ফিফার রায়কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পক্ষপাতদুষ্টও বলা হয়। বাফুফের আইনি প্রতিষ্ঠান এ হোসেইন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই সিদ্ধান্ত শুধু ত্রুটিপূর্ণই নয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট রায় দেওয়া হয়েছে।’

বাফুফের বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, ‘শুনানিতে বাফুফে টাকাপয়সা লেনদেনের জন্য ফিফার দেওয়া অনুমোদনের নথিপত্র পেশ করেছে। কিন্তু অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার অবৈধভাবে এসব গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আমলে নেয়নি। এতেই স্পষ্ট হয় সিদ্ধান্তটি শুধু ভুল ও ত্রুটিপূর্ণ নয় বরং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এই রায় দেওয়া হয়েছে।’

ফিফার অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার ফিফার তহবিলের কোনো অপব্যবহার করা পায়নি। এছাড়া আবু নাঈম সোহাগের জমা দেওয়া কাগজপত্রেও কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি, অ্যাডজুডিকেটরি কমিটি এমন কথাই বলেছিল বলে দাবি করা হয়েছে বাফুফের বিবৃতিতে।

একই বিবৃতিতে বাফুফে আরও দাবি করেছে, অ্যাডজুডিকেটরি কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়, তিনটি বিষয় নিয়ে অনিয়মের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ১. অর্ডার করা মালামাল পাওয়া যায়নি এমন অভিযোগ নেই। ২. বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি অর্থ দেওয়া হয়েছে। ৩. ফিফার দেওয়া তহবিল থেকে তাদের অর্থ পরিশোধ করা হয়নি।  

এমনকি ফিফার পাঠানো তহবিলের অপব্যবহার করা হয়েছে কিংবা বেঁধে দেওয়া নিয়মের মধ্যে ব্যবহার করা হয়নি, এমন কোনো ইঙ্গিত নেই রায়ে বলেও দাবি বাফুফের।

দরপত্রটাই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়নি। তথ্যপ্রমাণ এড়িয়ে সম্পূর্ণ অনুমানের ওপর অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার জানিয়ে দেয়, বাফুফের প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করা হয়েছে। আর এতেই প্রমাণিত হয় সিদ্ধান্তটি শুধু ভুল ও অসংগতিপূর্ণ নয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে, বিবৃতিতে এমনই দাবি বাফুফের।

বাফুফের স্পষ্ট দাবি, ‘শুনানির সময় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বিবেচনা করা এড়াতে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনুমাননির্ভর এই রায় অনুমোদন করেছে ফিফার অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার। এ ছাড়া সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছর নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছে।’

‘অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বার যদি নথিপত্রগুলো স্বাধীন ও ন্যায্যভাবে যাচাই-বাছাই করত, বিশেষ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ফিফার অনুমোদন নিয়েই খরচের যেসব নথিপত্র দেওয়া হয়েছে, সেগুলো তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে নেওয়া সিদ্ধান্তটি অনুমোদন পেত না। দেখে মনে হয়েছে, অ্যাডজুডিকেটরি চেম্বারের কাজই যেন ফিফা ইনভেস্টগটরি চেম্বারের সিদ্ধান্তকে অনুমোদন দেওয়া, যেখানে স্বাধীন ও বিচারিকভাবে বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়নি’ ফিফার বিরুদ্ধে বিবৃতিতে অভিযোগ বাফুফের।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নিয়ম অনুযায়ী জনাব সোহাগ এই পক্ষপাতদুষ্ট রায়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) আপিল করবেন। এটি একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান।’

Link copied!