ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের তৃতীয় দিন আজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। ম্যাচটিতে চাপ না নিয়ে উপভোগ করতে চায় সাকিব আল হাসানের দল। আফগান স্পিন চ্যালেঞ্জিং হলেও ব্যাটিং ইউনিটের ওপর অধিনায়কের পূর্ণ আস্থা। শনিবার (৭ অক্টোবর) হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, ধর্মশালায় ম্যাচটি শুরু সকাল ১১টায়। সরাসরি দেখাবে গাজী টিভি, টি স্পোর্টস ও স্টার স্পোর্টস ২।
ধর্মশালায় কখনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা সতীর্থদের সঙ্গে হয়তো শেয়ার করেছেন সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা। দলে প্রথম বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটারের সংখ্যাও যে কম নয়।
হিমালচলের উইকেট হতে পারে ভাবনার কারণ। এখন পর্যন্ত দু`শোর নিচে অলআউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে চারবার। ২০১৭ সালের পর এ ভেন্যুতে গড়ায়নি কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তারপরও কালো চশমা পড়া হাথুরুর বিশ্বাস উইকেট হবে স্পোটিং।
বাংলাদেশের হেড কোচ চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহে বলেন, আশা করি হাই স্কোরিং ম্যাচ হবে। প্রথমত সবাই বিশ্বকাপ জিততে চায়। তবে বাস্তবতার বিচারে আমাদের লক্ষ্য চার-পাঁচটা ম্যাচ জেতা। তাহলে সেমির সম্ভাবনা তৈরি হবে।
টিম কম্বিনেশনের প্রশ্নে সেই পুরনো উত্তর। ম্যাচ ডের সকালে উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত। কন্ডিশন বিবেচনায় ধারণা করা যায় একাদশ হতে পারে তিন পেসারের। তাসকিন, মুস্তাফিজের সঙ্গে শরিফুল কিংবা হাসান মাহমুদ। আফগানিস্তানের ব্যাটিং বিবেচনায় সাকিব, মেহেদী মিরাজের সঙ্গী হতে পারেন নাসুম আহমেদ। ওপেনিং পজিশনে লিটন, তানজিদ তামিম। পরিস্থিতি বিবেচনায় মেহেদী মিরাজকে দেখা যেতে পারে ব্যাটিং অর্ডারের যে কোন পজিশনে।
চন্দ্রিকা হাথুরুসিংহে বলেন, ম্যাচ ডের সকালে টিম কম্বিনেশন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। করুণ ক্রিকেটাররা ভালো খেলতে মুখিয়ে। দল নিয়ে মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারে। আমার দায়িত্ব ক্রিকেটারদের মানসিক চাপ এড়ানো।
এর আগে ওয়ানডেতে ১৫ বার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। যেখানে বাংলাদেশের ৯টি জয়ের বিপরীতে রশিদ-মুজিবদের জয় ৬ ম্যাচে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দলই দারুণ ফর্মের জানান দিয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উভয় দলই জিতেছে দাপট দেখিয়ে। শক্তির জায়গাতেও প্রায় কাছাকাছি সাকিব-রশিদরা। রয়েছে স্পিন-পেসের শক্তিশালী কম্বিনেশন। সব ছাপিয়ে দিনটা নিজেদের করে নিতে বাংলাদেশকে পারফর্ম করতে দলবদ্ধ হয়ে।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ :
তানজিদ তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম।