ডেঙ্গু প্রতিরোধে বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, “এডিস মশার প্রজননস্থলগুলো চিহ্নিত করে লার্ভা ধ্বংস করতে হবে। বসতবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা যাতে জন্মাতে না পারে, সেজন্য ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজের নিচে কিংবা বাসার ভেতর জমা পানি প্রতি তিন দিনে একবার পরিষ্কার করতে হবে।”
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কমিটির ২০২৪ সালের প্রথম সভা স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তাজুল ইসলাম।
ব্যাংক ও আবাসিক এলাকাগুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা নিজেরা সচেতন হলে ডেঙ্গু ও এডিস মশা প্রতিরোধ কার্যকর করা সম্ভব।”
এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের আমদানি করা কীটনাশকের গুণগতমান পরীক্ষা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “গতবার মশার কীটনাশক স্প্রে নিয়ে কিছু বিতর্ক তৈরি হওয়ায় এ বছর পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ওষুধ কার্যকর হয়।”
সভায় সারা দেশে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের অধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় গ্রামেও নগরায়ণের ছোঁয়া লেগেছে। ফলে গ্রামেও স্বচ্ছ জমাটবদ্ধ পানি থেকে এডিস মশার লার্ভা উৎপন্ন হতে পারে। যেহেতু গত বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে, তাই আশঙ্কার কথা হচ্ছে এ বছর তা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে, যদি আমরা এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে না পারি।”
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :