অনেক সময় দেখা যায়, অফিসে সহকর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন, যাদের আচার-আচরণ খুবই বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। নানাভাবে মানসিক পীড়া দিতে থাকে তারা। ফলে কাজের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় নানান সমস্যা। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে মানসিক যন্ত্রণা। তখন কোনো কাজই ঠিকমতো করা যায় না।
চলুন জেনে নেয়া যাক এ ধরনের সহকর্মীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়-
ইতিবাচক থাকুন
নিজেকে সব সময় পজিটিভ রাখার চেষ্টা করুন। আপনার বিরক্তিকর সহকর্মী কী করছেন সেদিকে প্রয়োজন না হলে নজর দেবেন না। তা না হলে আপনার কাজের ওপর তার আচরণের একটা প্রভাব পড়বে। অনেক সময় সহকর্মীর আচরণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে অফিস কাজের জায়গা। অফিসের কোনো কিছুই ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না।
পছন্দের বিষয় নিয়ে কথা বলুন
এমন কিছু খুঁজে বের করতে চেষ্টা করুন যেটি আপনাদের দুজনেরই পছন্দের। এতে সমস্যা অনেকাংশেই সমাধান হয়ে যায়। সেই আগ্রহের বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা বলুন। এতে তার প্রতি আপনার বিরক্তিকর ভাবটা চলে যাবে। হতে পারে এরপরে তিনি আপনার প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন। যখনই তিনি বিরক্তিকর কিছু করতে যাবেন, তার পছন্দের বিষয় নিয়ে কথা বলে সেটি করা থেকে বিরত রাখতে পারেন।
দোষ খুঁজতে যাবেন না
আপনার সহকর্মী যদি চূড়ান্ত অসহনীয় হয়ে ওঠেন, এর পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করতে চেষ্টা করুন। দেখবেন এমন অনেক কিছুই পাওয়া যাবে, যা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে। সেগুলো এড়িয়ে যান। যদি তার সব সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামাতে থাকেন, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এজন্য যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন দোষ খোঁজা থেকে।
দয়াশীল হোন
বিরক্তিকর সহকর্মীর যন্ত্রণা থেকে বাঁচার আরেকটি মোক্ষম উপায় হলো দয়াশীল হওয়া। তিনি হয়তো আপনাকে নানাভাবে বিরক্ত করার চেষ্টা করবেন। আপনি এতে রাগ না করে বরং তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। তার প্রতি দয়াশীল হোন। এতে তিনি মানসিকভাবে অনুতপ্ত হবেন এবং আপনার সঙ্গে খারাপ কিছু করার আগে তার মধ্যে অনুশোচনা তৈরি হবে।
প্রতিযোগীতা করবেন না
বিরক্তির চূড়ান্তসীমায় পৌঁছে গেলে অনেকেই মুখে মুখে জবাব দিয়ে ফেলেন। এ ছাড়া কিছু করারও থাকে না। তবে এসব যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে এটি পুরোপুরি কার্যকরী পন্থা নয়। তিনি হয়তো নানাভাবে আপনার মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনি খুবই ভদ্রভাবে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। তাতে তিনি অনেকাংশেই আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।
কথাবার্তায় সাবধানতা
স্পষ্টভাষী হওয়া বা যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা অবশ্যই ভালো গুণ। তবে সবসময় এটি না করে ক্ষেত্রবিশেষে করাই ভালো। বিশেষ করে অফিসে যা বলার মেপে বলুন। আপনার বিরক্তিকর সহকর্মী হয়তো আপনার দোষ ধরতে বসে আছেন, তাকে সে সুযোগটি দেবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় কাজের কথা ব্যতীত অন্য কোনো আলোচনা না করা।