বিয়েতে নতুন বউয়ের পোশাকের পাশাপাশি বরের পোশাকও হওয়া চাই সুন্দর। বর-বউ একসঙ্গে দাঁড়ালে যেন দেখতে আকর্ষণীয় লাগে। এখনকার যুগে সুন্দর দেখানোর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা তো ভাবাই যায় না।
ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশসহ আরও কত কত মাধ্যমে বিয়ের স্মৃতি ধরে রাখার বিষয় থাকে। তাই শেরোয়ানির সঙ্গে মাথার ওপর একটি পাগড়ি না হলে কেমন যেন বেমানান লাগে। তাই পাগড়ি লাগেই বিয়েতে।
বেশ কয়েক ধরনের পাগড়ি পাওয়া যায়। শিখ পাগরী, পেশোয়ারী পাগরী, রাজস্থানী পাগরী, যোধপুরী পাচারঙ্গী, মারাঠি ফেটা,মোগলাই, বেলুচ ইত্যাদি। এককটি পাগড়ির পেছনে রয়েছে একেকটি ইতিহাস।
সব ধরনের পাগড়িই একেকটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করে বলা যায়। আমাদের দেশে ফ্যাশনের অংশ হিসেবে সব ডিজাইনের পাগড়িই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কথা হলো, বরের পাগড়ি পাওয়া যাবে কোথায় সেটি অনেকেরই অজানা থাকে। এলোপাথারি খুঁজতে থাকেন অনেকে। তাই জেনে নিন কোথায় গেলে সহজেই পেয়ে যাবেন।
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে অনেকগুলো বিয়ের সরঞ্জামাদিসহ কিছু দোকন রয়েছে। সেখানে গেলেই পেয়ে যাবেন এটি। এছাড়াও মৌচাক মার্কেটের ভেতরে কিছু দোকানে পাওয়া যেতে পারে।
মিরপুর বেনারসি পল্লীতে কয়েকটি শাড়ির দোকান খুঁজলেই পাবেন বিয়ের পাগড়ি।
কেনার সময় খেয়াল রাখবেন পাগড়ির সেলাই করা সুতার বাঁধনটি মজবুত আছে কি না। যে শেরোয়ানির সঙ্গে পরবেন সেটির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন।
অনেক বেশি অসামঞ্জস্যপূর্ণ রং যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। অথবা কনের শাড়ির রঙের সঙে মিলিয়েও বাছাই করতে পারেন পোশাকের এই অনুসঙ্গটি। দেশি পাগড়ির দাম যেখান থেকে শেষ বিদেশি পাগড়ির দাম সেখান থেকেই নাকি শুরু।
দেশি পাগড়ির দাম ১০০০-২৫০০ হলেও বাইরের পাগড়ির দাম ২৫০০-৩৫০০ টাকা পর্যন্ত নেন দোকানি। তবে আপনি যদি পাগড়ি বানানোর কৌশলটি এক শিখে নিতে পারেন,তাহলে সময় হাতে নিয়ে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :