• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

চুলের যত্নে দইয়ের ব্যবহার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৩, ১১:০৯ এএম
চুলের যত্নে দইয়ের ব্যবহার

ভিটামিন বি-৫, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ দই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চুলের যত্নেও এর জুড়ি মেলা ভার। শুধুমাত্র আমাদের মাথার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতেই নয়, চুল পড়া এবং খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যও দই অতুলনীয়। জেনে নিন চুলের যত্নে দই ব্যবহার করলে কোন কোন উপকার পাবেন।

প্রাকৃতিক কন্ডিশনার 
দইয়ে থাকা চর্বি চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। দই চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড চুল নরম করতে সাহায্য করে।

খুশকি দূর করে
দইয়ে প্রোপিওনিব্যাকটেরিয়াম নামক কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের মাথার ত্বকে বসবাসকারী দুটি সবচেয়ে সাধারণ ব্যাকটেরিয়া হলো প্রোপিওনিব্যাকটেরিয়াম এবং স্ট্যাফিলোকক্কাস। ত্বকে এই বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার বাড়াতে ও খুশকি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে।

চুল শক্তিশালী করে
দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। দই ত্বকের মৃত কোষ থেকে মুক্তি দিতে পারে। ফলে চুলের গোটা মজবুত হয় এবং চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হয়।

চুল নরম করে
নিস্তেজ এবং ভঙ্গুর চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে দইয়ের প্যাক। দইয়ে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলে আর্দ্রতা জোগায়। এতে চুল প্রাণবন্ত হয়। ডিম এবং দইয়ের মাস্ক চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং চুল উজ্জ্বল ও নরম করে।

চুলের লম্বা করে
দই চুলের গোড়া শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং চুলের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। এটি চুল পড়াও অনেকাংশে কমায়। দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। কারিপাতা, প্রোটিন এবং বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ উপাদান দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল পড়া সমস্যা কমে ও চুলের বৃদ্ধি বাড়ে।

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে
দইয়ের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকের সংক্রমণ, চুলকানি দূর করে এবং আপনার চুলের ফ্ল্যাকি ত্বক বা খুশকি থেকে মুক্তি দেয়। দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করে।

দইয়ের হেয়ার প্যাক বানাবেন যেভাবে

  • ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ৩ টেবিল চামচ দই এবং আধা চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। চুলের গোড়ায় নয়, শুধুমাত্র চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। চুল মজবুত, স্বাস্থ্যকর এবং হাইড্রেটেড রাখবে এই প্যাক। 
  • দইয়ের সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস ও কয়েক ফোঁটা রোজমেরি অয়েল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে খুশকি দূর হবে।
  • ১ পাত্রে ৩ টেবিল চামচ দই, ১ টেবিল চামচ মধু এবং লেবু মিশিয়ে নিন। একটি ব্রাশের সাহায্যে প্যাকটি চুলে লাগান। ৩০ মিনিট চুলে রেখে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। চুল পড়া কমবে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে।
  • দই ১টি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে পরিচিত, ডিম চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া কমায়। মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা ক্ষতিগ্রস্থ চুলে পুষ্টি জোগায়। ৬ টেবিল চামচ দই এবং ২ চা চামচ মধু একটি ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে। 
  • একটি পাকা কলা চটকে নিন। এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দই ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ভেজা চুলে লাগান। ৪৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। চুল হবে প্রাণবন্ত।

সুত্র: ফেমিনা

Link copied!