• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজ ঘুমপ্রেমীদের দিন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম
আজ ঘুমপ্রেমীদের দিন

ঘুমাতে কে না ভালোবাসে। কিন্তু নিশ্চিত হয়ে ঘুমাতে কজন পারেন। ঘুমের জন্য় বিছানায় গা ভাসালেই যেন হাজারো চিন্তা মাথায় ঘুরে বেড়ায়। এপাশ-ওপাশ করে হয়তো একসময় ঘুম চলে আসে। কিন্তু প্রশান্তির, চিন্তাহীন, আরামের ঘুম কি সব সময় হয়! আজ এত কিছু না ভেবে শুধু ঘুমেই কাটিয়ে দিন। কেননা, আজকের এই দিনটি হচ্ছে ঘুমপ্রেমীদের দিন।

ঘুমপ্রেমীরা হয়তো সব সময়ই ভাবেন ‘একটা দিন শুধু ঘুমের জন্য পেলে মন্দ হতো না।‘ তাদের মনের আশা পূরণ হবে এই দিনে। কারণ, ১৫ মার্চ শুক্রবার বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ঘুম দিবস। মূলত শরীর ও মনের জন্য় ঘুমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতেই এই দিবস পালিত হয়।

প্রতিবছর মার্চ মাসের তৃতীয় শুক্রবার এ দিনটি পালন করা হয়। সেই অনুযায়ী এই বছর ১৫ মার্চ দিবসটি পালন করা হচ্ছে। যারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের উপলক্ষ করেই দিবসটির প্রচলন হয়। ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব স্লিপ মেডিসিনের (World Association of Sleep Medicine) ওয়ার্ল্ড স্লিপ ডে কমিটি ২০০৮ সাল থেকেই দিবসটি পালন করছে। এই কমিটির ঘুমের ওষুধ ও ঘুম নিয়ে গবেষণা করা একদল চিকিৎসাবিদের হাত ধরে এই দিনের পথচলা শুরু। এখন বিশ্বব্যাপী ৭০টির বেশি দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালন করা হয়।

আমেরিকান স্লিপ অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ৫০ থেকে ৭০ মিলিয়নের বেশি মানুষের মধ্যে  ঘুমের ব্যাধি রয়েছে। ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষের স্লিপ অ্যাপনিয়া রয়েছে। এছাড়াও অনিদ্রা তো এখন সর্বজনীন সমস্যা। যারা মারাত্মক ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তাদেরকে সহায়তা করা  এবং সচেতনতা বৃদ্ধির করাই এর মূল লক্ষ্য।

সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘুমের গুরুত্ব বুঝিয়ে দেওয়া এবং নিয়মিত পর্যাপ্ত সময় ঘুমের অভ্যাস করার জন্য কিছু পদক্ষেপের পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন_

  • ঘুমের আগে নিজের যত্ন নিন। নিজেকে প্রস্তুত করুন। যারা অনিদ্রায় ভুগছেন তারা বিছানায় যাওয়ার আগে নিজের পরিচর্যা করতে পারেন। এতে রিলাক্স হয়ে ঘুমানো যাবে। ঘুমের আগে গোসল করে নিতে পারেন। দাঁত ব্রাশ করতে পারেন। পরিচ্ছন্ন থাকলে শরীর ও মন শান্ত থাকবে। দ্রুত ঘুম আসবে।
  • কাজের ব্যস্ততায় ঘুম হয় না। তাই ছুটির দিন পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিন। এ ছাড়া কাজের মাঝে দুর্বল লাগলে ৩০ মিনিট চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। ছোট একটা ঘুমও দিয়ে দিতে পারেন। এতে প্রশান্তি পাবেন। জমে থাকা কাজগুলোও দ্রুত শেষ হবে।
  • ওষুধ যেমন নিয়ম করে খেতে হয়। ঘুমটাও নির্দিষ্ট সময়ই হতে হবে। প্রতিদিন একই সময়ে বিছানায় যান। ধীরে ধীরে তা অভ্যাস হয়ে যাবে। ভালো ঘুম হবে।
  • ভালো ঘুম হওয়ার অন্যতম শর্ত হতে পারে শরীরচর্চা। যারা বাড়িতেই বেশি থাকেন এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করা হয় না তারা শরীরচর্চা করুন নিয়মিত। দ্রুত হাঁটাহাটি করুন। কার্ডিও অনুশীলন করুন। ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যাবেন সহজেই।
  • ঘুমাতে সমস্যা হলে ক্যাফেইন থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। এটি মন এবং শরীরকে সক্রিয় করবে ঠিকই। কিন্তু ঘুমের বারটা বাজাবে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার ৬ ঘণ্টা আগে কোনো কফি, চা বা অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান করবেন না।
  • ঘুমানোর জন্য ঘরের তাপমাত্রা সহনশীল হওয়া প্রয়োজন। ৬০ এবং ৬৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৬-১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখুন ঘরের তাপমাত্রা। ভালো ঘুম হবে।
  • ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন, টিভি থেকে দূরে থাকুন। শুয়ে বই পড়তে পারেন। কিন্তু বইয়ের নেশায় জোড় করে জেগে থাকবেন না। যখনই ঘুম পাবে ঘুমিয়ে যাবেন।
Link copied!