• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিশুকে হাসিখুশি রাখার কিছু টিপস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩, ১২:০৭ পিএম
শিশুকে হাসিখুশি রাখার কিছু টিপস

সুস্থ দেহ, সুন্দর মন। মন খারাপ বা না হাসা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। হাসিখুশি থাকলে মানুষকে শুধু দেখতেই সুন্দর লাগে না, তার হৃৎপিণ্ডসহ শরীরের অঙ্গগুলোকেও রাখে ভালো। জেনে নিন কিভাবে শিশুকে হাসি-খুশি রাখা যায়-

শিশুর উচ্চতা 
শিশু কতটুকু লম্বা হয়েছে এটা নিয়ে এত বেশি চিন্তা না করাই ভালো। বয়স অনুযায়ী তাদের গ্রোথ ঠিক আছে কিনা, সেই দিকে নজর রেখে তাকে পুষ্টিকর খাদ্য দেয়া যেতে পারে, কিন্তু তাদের বুঝতে দেয়া উচিত, তারা যেমন আছে, তেমনটাই ঠিক।

লাজুক শিশু
নতুন কোন পরিস্থিতি ফেইস করতে গেলে অনেক বেশি লাজুক হয়ে যায় এবং পিছিয়ে পড়ে। এটা আসলে বহু শিশুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তাই এই লাজুকতা থেকে তাকে বের করে আনার জন্য বেশি জোর না করে তাকে তার মতো থাকতে দেয়াই ভালো।

সময়কে সহজ করা
বড়রা যেমন বেশিরভাগ সময় ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করে, শিশুরা তেমন নয়। তারা কেবল বর্তমানটাকেই বোঝে। তাই সময়গুলোকে তার কাছে সহজ করে দিতে পারলেই সে ভালো থাকবে। যেমন, বাচ্চাকে সরাসরি ‘’স্কুলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে’’ না বলে কিছুটা পরিষ্কার করে সহজ ভঙ্গিতে বলতে পারলে খুব ভালো হয়। বলা যেতে পারে, ‘’আমাদের স্কুলের জন্য বেরুনো দরকার। ইউনিফর্ম পরার সময় হয়ে গেছে।‘’

অনুভূতি প্রকাশ
অনেক শিশুই নিজেদের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে পারে না। সেক্ষেত্রে অভিভাবক কিছুটা সাহায্য করতে পারে শিশুর মনের অবস্থা বুঝে নিয়ে। যেমন- ‘’বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে? খেলতে যেতে না পেরে খুব মন খারাপ?’’ বা, ‘’খেলনাটা নষ্ট হয়ে গেছে? নতুন চাই?’’ এভাবে পরিবেশ বুঝে তাকে সাহায্য করা যেতে পারে।

মনোযোগ 
বাবা-মা’র কাছে পূর্ণ মনোযোগই দাবী করে শিশুরা। শিশু যখন বুঝতে পারে অভিভাবক তার প্রতি মনোযোগী নন, তার মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাই শিশুর সঙ্গে সময় কাটানোর সময় অন্য কিছুতে ব্যস্ত না থাকাই ভালো।

ভদ্রতা
শিশুরা অনুকরনপ্রিয় হয়। তাই তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় ‘সরি’, ‘থ্যাঙ্কস’ জাতীয় শব্দগুলো বলার অভ্যাস থাকলে ভালো। শিশু যত বেশি ভালো আচরন পাবে, ততই তা নিজেও শিখবে।

নরম সুরে কথা বলা
শিশুদের সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলাটা তাদের পছন্দ নয়। এতে তাদের আচরন রুক্ষ্ণ হয়ে পড়ে। এটা এমনকি টিন-এজ শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাই তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় যত নরম সুরে বলা যায়, ততোই ভালো।

শাসন 
গবেষনায় দেখা যায় শিশুদের কর্মকান্ডে অতিমাত্রায় শাসন আরোপ করা বা কাঠিন্য বজায় রাখা বাবা-মায়েরা ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন।

ঘনিষ্ঠ হওয়া
একমাত্র স্তন্যদান ছাড়া শিশুর কাজের মধ্যে বাবার কাজ, মায়ের কাজ বলে আলাদা কিছু নেই। এসব চিরা-চরিত ভাবনা পরিহার করাই ভালো বলে গবেষকরা মনে করেন। ডায়াপার বদলানো, গোসল করানো, মাঝে মাঝে খাওয়ানো, এগুলো তাদের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ায়।

মজা করা
শিশুদের সঙ্গে মজা করতে পারলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে, তারা সৃষ্টিশীল চিন্তায় পারদর্শী হয়,আর বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কটাও হয় দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ!

Link copied!