খুব চমৎকার করে মেকআপ করলেন। কিন্তু দেখতে কেমন যেন মানাচ্ছে না বা কোথাও একটা অসামাঞ্জস্যপূর্ণ লাগছে। আসলে আপনার ভুরুর শেপটাই যত গন্ডগোল পাকিয়েছে। আপনি নিজের ইচ্ছামতো ভুরু ডিজাইন করে প্লাক করালেন। আর মেকআপ করার পর মনে হচ্ছে নাহ্ হলো না কিছুই। তাই জেনে রাখুন মুখের ভুরু একটি খুব গুরুত্ব বিষয়। আগে থেকে জেনে নিতে হবে আপনার মুখের ধরন কী ও কেমন ভুরু প্লাক করলে আপনাকে ভালো লাগবে। চলুন জেনে নিই।
ডিম্বাকৃতি মুখের জন্য
ডিম্বাকৃতি মুখে গোলাকার ভুরু একদম ভালো লাগবে না। এই ধরনের মুখে প্রয়োজন সফট অ্যাঙ্গল আইব্রো। অর্থাৎ ভুরু সামান্য উঠে খুব নরম করে নিচে নেমে যাবে।
লম্বা মুখের জন্য
লম্বা মুখে এমন আইব্রো রাখতে হবে যাতে মুখ আর বেশি লম্বা না দেখায়। তার জন্য এ-জাতীয় মুখে ভুরু হবে সোজা। লম্বা মুখে হরাইজনটাল বা সমান্তরাল ভুরু হলে মুখের দৈর্ঘ্য কম লাগবে।
চৌকো মুখের জন্য
চৌকো মুখে চোয়ালের রেখা খুব শক্তিশালী হয়। তাই এমন ভুরু রাখবেন যেটাতে সামান্য উঠে থাকবে কিন্তু নরম করে নিচে নেমে আসবে। এতে চোয়াল অতটা প্রকট লাগবে না।
পানপাতার মতো মুখের জন্য
এই জাতীয় মুখে চোয়াল একটু প্রকট হয়। এসব মুখে ভালো লাগবে গোলাকার ভুরু। আপনার মুখ যদি পান পাতার মতো হয় এবং সেটা যদি বেশি ছড়ানো হয় তাহলে ভুরুতে বেশি আর্চ রাখবেন না। আপনার মুখের আকৃতি ছোট হলে তখন গোলাকার ভুরুতেও আর্চ রাখবেন। তাহলে মুখটা অতটাও ছোট লাগবে না।
মুখ যদি ষড়ভুজের মতো হয়
এই জাতীয় মুখ ছড়ানো হয় এবং অনেকগুলো কোণ থাকে। তাই এমন ভুরু রাখবেন যাতে ভুরুর কোণ নরম হয় এবং যেখানে আপনার মুখ বেশি ষড়ভুজের মতো, সেখানে ভুরুর দৈর্ঘ্য বেশি রাখবেন।
যদি মুখ গোলাকার হয়
মুখ যখন গোলাকার, তখন সেই মুখের জন্য গোলাকার ভুরু নয়। তাহলে আরও গোল দেখাবে মুখ। ভুরু যদি সোজা ওপরে উঠে আবার নিচে নেমে যায় তাহলে মুখ গোল দেখাবে না। যেখান থেকে ভুরু নিচে নামছে সেই জায়গাটা যেন গোলাকার না হয়।
এইভাবে ভুরু প্লাক করলে যেকোনো মেকআপেই আপনাকে বেশ আকর্ষণীয় দেখাবে।