• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাত জেগে বিশ্বকাপ দেখবেন, ভুলবেন না এই বিষয়গুলো


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২২, ০৩:১৬ পিএম
রাত জেগে বিশ্বকাপ দেখবেন, ভুলবেন না এই বিষয়গুলো

শুরু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২। কাতারে হতে যাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপের আয়োজন। খেলা হবে কাতারে, আর পুরো বিশ্বের চোখ থাকবে টিভি পর্দায়। দিন ও রাতের সময় অনুষ্ঠিত হবে খেলাগুলো। প্রিয় দলের খেলা দেখতে রাতও জেগে থাকতে হবে। বিশ্বকাপ বলে কথা। পুরো মাস কেটে যাবে খেলার আনন্দে।


বিশ্বকাপে খেলা দেখতে হবে দিনের ব্যস্ততার মাঝেই। কিংবা রাত জেগে। যেভাবে, যখনই খেলা দেখবেন বিভোর হলে চলবে না। খেলা দেখার পাশাপাশি নিজের খেয়ালও রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ চলছে। মশার কামড় থেকেও সাবধানে থাকতে হবে। দিনের সময় ডেঙ্গি মশা কামড়ায় বেশি। তবুও এই ভাইরাস বহনকারী মশা রাতেও উড়ে বেড়াতে পারে। তাই রাত জেগে খেলা দেখায় হতে হবে সতর্ক। প্রয়োজনে মশারি টাঙিয়ে উপভোগ করতে হবে পুরো খেলা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলার উত্তেজনায় মশার কামড়ের অনুভূতিও তখন সাধারণ মনে হবে। কিন্তু ওই মশা যদি কোনও বড় রোগের বাহক হয়, তবে হতে পারে মহাবিপদ।


প্রিয়দলের ভক্তদের নিয়েও চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বকাপে হার-জিতের লড়াইয়ে যদি প্রিয়দলটি ছিটকে পড়ে তবে তো আর রেহাই নেই। ভক্তরা রীতিমতো মানসিক অস্থিরতায় ভুগবে। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যাদের হৃদরোগ আছে, তারা রাত জেগে খেলা দেখার বিষয়ে সতর্ক থাকুন। টেনশন বেড়ে যাচ্ছে এমন মুহূর্তগুলোকে পাশ কাটিয়ে যান। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা অতিরিক্ত টেনশন নেবেন না এই সময়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলা নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন থেকে আচমকা হার্ট অ‌্যাটাকেরও বিপত্তি হতে পারে। রক্তচাপ ১২০/৮০ এর উপরে উঠলেই বিশ্রামে চলে যেতে হবে।


প্রিয় দল হেরে গেলেও যেমন উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। আবার জিতে গেলেও বা খেলায় টান টান উত্তেজনা মুহূর্তেও রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। তাই হার্টের রোগীরা সব মুহূর্তেই সাবধান থাকবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আকস্মিক উত্তেজনায় সাডেন কার্ডিয়াক অ‌্যারেস্টের সম্ভাবনা থাকে। হৃৎপিণ্ড আচমকা থেমে গেলে মস্তিষ্ক রক্ত পায় না। এটি ১০ মিনিট স্থায়ী হলেই মৃত্যুও  হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, আপনি যদি অতিরিক্ত টেনশনে ভুগেন এবং যদি আপনার হৃদরোগ থাকে তবে ভুলেও একাকী খেলা দেখবেন না। পরিবারের সবাইকে নিয়েই খেলা দেখুন। খেলার মুহূর্তগুলোতে রিলাক্স থাকুন। হার-জিত থাকবেই তা মেনে নিন।

বিশ্বকাপের উত্তেজনা সবার মধ্যেই সমান। ছোট-বড় সবাই এখন খেলা শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে। তাই ছোট বয়সীদের নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ছোটরাও বিশ্বকাপ নিয়ে উত্তেজনায় থাকে। রাত জেগে তারাও খেলা দেখবে। প্রিয় দল হেরে গেলে বা জিতে গেলে তাদেরও প্রতিক্রিয়া হবে। নেতিবাচক ও ইতিবাচক দুই রকম প্রতিক্রিয়াই হতে পারে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, লেখাপড়ায় অমনোযোগী হওয়া, এমনকি খাবারে অনিহা হতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন যেন ছোটদেরও অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমের রুটিন ঠিক থাকে। রাতের যে সময়টা জেগে থাকবে ঘুমের ব্যাঘাত হবে। তাই দিনের সময় হলেও যেন ঘুমিয়ে নিতে পারে ছোটরা।

দীর্ঘ সময় খেলা হবে। এই সময় উত্তেজনার বসে অনেকে পানি পান করতেও ভুলে যাবেন। শীতের সময় শরীরে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। তাই বোতলে পানি নিয়েই খেলা দেখতে বসুন। প্রয়োজনে শুকনো কিছু খাবারও রাখতে পারেন এই সময়।

সবশেষে আরও একটি পরামর্শ হচ্ছে, মোবাইলের পর্দায় বিশ্বকাপ না দেখে টেলিভিশনের বড় পর্দাতেই দেখুন। কারণ দীর্ঘসময় মোবাইল ফোনের পর্দায় তাকিয়ে থাকলে তা চোখের ক্ষতি করবে। আর মস্তিষ্কেরও ক্ষতি হবে। তাছাড়া মোবাইলের হেডফোন টানা কানে লাগিয়ে রাখলে হতে পারে বিপদ। বিশেষজ্ঞরা জানান, হেডফোনে টানা ১ ঘণ্টা ৮৫ ডেসিবেলের উপর আওয়াজ থাকরে তা আপনাকে বধি করেও দিতে পারে। 

Link copied!