পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভ্যাসগুলো ছোটবেলা থেকেই শিখতে হয়। বড় হোক বা ছোট মানুষের সুস্থতা নির্ভর করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর। সুস্থতার জন্য সবসময় কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। এসব স্বাস্থ্যবিধি বা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস শিশুদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই গড়ে তোলা উচিত। আর এটা করতে হয় অভিভাবকদের। চলুন জেনে নেবো কীভাবে শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলোয় অভ্যস্ত করে তুলবেন-
নিয়মিত গোসল
সুস্থতার নিয়মিত গোসল করা জরুরি। একটু ঠান্ডা পড়লেই অনেকে শিশুকে গোসল করাতে চান না। এটা না করে বরং শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে। গোসল না করালে শরীরে র্যাশ, চুলকানি, ছত্রাকের সংক্রমণসহ নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। ঠান্ডা থাকলে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিন।
হাত ধোয়া
শিশুর মধ্যে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। শীত-গরম যাই থাকুক, বাইরে থেকে এসে ও খাওয়ার আগে শিশুকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ায় অভ্যস্ত করুন।
টয়লেটে পানি ব্যবহার
মলত্যাগ বা প্রস্রাবের পর পানি ব্যবহার, টয়লেট পরিষ্কার রাখা, টয়লেটে জুতা পায়ে যাওয়া, টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার বিষয়গুলো শিশুকে শেখাতে হবে।
নখ পরিষ্কার
নখের ময়লা থেকে অনেক রোগের জন্ম হতে পারে । তাই শিশুকে নখ ছোট ও পরিষ্কার রাখা শেখাতে হবে। সপ্তাহে একবার নখ কাটতে হবে। অনেক শিশুকে দেখা যায় দাঁত দিয়ে নখ কাটছে। এ বদ অভ্যাস থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
আগ্রহী করে তুলুন
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলো শিশুকে চাপিয়ে না দিয়ে উৎসাহ দিয়ে শেখানোর চেষ্টা করুন। এতে শিশু নিজে থেকেই পরিচ্ছন্ন থাকতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।