পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের এখন সবচেয়ে যে জিনিসটি বেশি প্রয়োজন, তা হলো বিশুদ্ধ বাতাস। আর বাতাস থেকে অক্সিজেন নেওয়ার প্রধান উপায় হলো সবুজ অরণ্য। চারদিকে গাছগাছালি যত বাড়বে ততই অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে। শুধুমাত্র শখের বশে নয় দায়িত্ব নিয়ে অন্তত ঘরের চারপাশে কিংবা ঘরের ভেতরটাও যদি ভরিয়ে তোলা যায় সবুজে, তাও কম নয়। অনেকে সে কাজটি করছেন ও বটে। শখ করে কেউ কেউ নানান গাছ দিয়ে সাজাচ্ছেন ঘর। তবে সারাবছর যেমন তেমন শীতের সময়টাতে মানুষের মতো গাছেরও নিতে হয় বাড়তি যত্ন।
তাই বারান্দায় কিংবা ড্রয়িংরুমে এ সময় কীভাবে গাছের যত্ন নিতে হয় চলুন জেনে নিই-
- প্রয়োজন বুঝে নিয়মিত পানি দিতে হবে। শীতে শিশির পড়ার কারণে টব ভেজা থাকে। মাটি ভেজা থাকা অবস্থায় পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত পানির কারণে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে। কিন্তু গাছের গোড়ায় পানি শুকিয়ে এলেই পানি দিতে হবে।
- পানি বেরোনোর জন্য অবশ্যই পাত্রের নিচে ছিদ্র রাখতে হবে। ছিদ্র থাকা সত্ত্বেও একটানা বেশ কদিন ধরে মাটি ভেজা রয়ে গেলে ওই মাটি বদলে দিন।
- শুকনো পাতা পড়ে গাছের গোড়া ঢেকে দেওয়া যেতে পারে। নিয়মিত সেগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।
- গাছের জন্য শুধুমাত্র জৈব ও কেঁচো সারই ভালো। ডিম ও শাকসবজির বাকল দিয়ে নিজেও তৈরি করে নিতে পারেন সার। এই সার গাছের জন্য খুবই উপকারী। চার মাস অন্তর গোবর সার দিন।
- এক মাস অন্তর খইলের পানি দেওয়া যেতে পারে। অল্প পানিতে খইল ভিজিয়ে রেখে ১০ দিন পর সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে পানি সেচের মতো প্রয়োগ করুন। ২-৩ দিন পর মাটি নিড়িয়ে দিন। খইলের গন্ধ থাকবে না।
- এ সময় গাছের পাতাগুলোকে বারান্দার বাইরের দিকে ছড়িয়ে দিতে পারলে গাছ সজীব হয়। এতে শিশির থেকে পুষ্টি পেয়ে গাছ বাড়তে থাকে।
- শীতের সময় সময় গাছের গায়ে বাড়তি ধুলো জমতে পারে। পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে সেগুলো ঝেড়ে ফেলুন।
- শীত বেশি হলে অনেক গাছ মরে যেতে পারে। এটি হলে গাছ খানিকটা ছেঁটে দিতে পারেন। শীত কমে গেলে নতুন পাতা গজিয়ে আবার সতেজ হয়ে উঠবে।
- পাতার রং যদি হালকা হয়ে যায়, তবে পানি না দিয়ে মাটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সূর্যের আলোতে গাছ রাখুন।
শীতের সময় আপনার শখের গাছ যত্নে থাকুক, ভালো থাকুক।