প্রতিটি সম্পর্কের মধ্যেই একঘেয়েমি আসতে পারে। কর্মব্যস্ত জীবনের নানা রকম চাপ, মানসিক চাপ, সংসারের ঝামেলা এই সবকিছুর ভিড়ে আমরা দাম্পত্য জীবনটাতে নজর দিতে পারি না অনেক সময়। প্রতিটি বন্ধনই সুস্থ হওয়া চাই। আর সম্পর্কের এই সুস্থতা ফেরাতে বেশি কিছু না করে নিজের শোবার ঘরটাতেই সবার আগে আনতে পারেন বদল। এতে করে দাম্পত্যে রসায়ন ও উষ্ণতা দুটোই ফিরবে। দাম্পত্য জীবনে রং ফেরাতে শোবার ঘরে যেসব বদল আনতে পারেন, জেনে নিই চলুন।
আরও পড়ুন: দাম্পত্যের নানা ধরন
সুগন্ধি
প্রতিদিনের একঘেয়েমি পরিবেশে না থেকে খানিকটা পরিবর্তন আনুন শোবার ঘরে। এ ক্ষেত্রে টাটকা ফুল ও সুগন্ধি মোমবাতি ব্যবহার করতে পারেন। একটি বড় পাত্রে খানিকটা পানি রেখে তার ওপর গোলাপের কয়েকটি পাপড়ি ছড়িয়ে ল্যাভেন্ডার, জেসমিন ইত্যাদির গন্ধযুক্ত এসেনসিয়াল তেল ছড়িয়ে দিতে পারেন। ঘরের পরিবেশটাই অন্য রকম হয়ে যাবে।
আলো-আঁধারি
শোবার ঘরে রোমান্টিকতার ছোঁয়া আনতে আলো-আঁধারি পরিবেশ তৈরি করতে পারেন। এর জন্য ডিমলাইট, মোমবাতির আলো ঘরের পরিবেশ বদলে ফেলার জন্য যথেষ্ট। বিছানার পাশে রাখতে পারেন একটা সুন্দর ল্যাম্পশেড। আলো-আঁধারির পরিবেশ দুজনকেই প্রশান্তি দেবে।
গান
শোবার ঘরে ঢুকে সারা দিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য যেকোনো পছন্দের রোমান্টিক গান চালিয়ে দিতে পারেন মৃদু আওয়াজে। এজন্য শোয়ার ঘরে একটা ব্লুটুথ স্পিকার রাখা যেতে পারে।
পরিষ্কার রাখুন
শোবার ঘর অপরিচ্ছন্ন রাখলে হবে না। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে শোবার ঘরটি অপরিষ্কার রেখে যাবেন না। ঘুম থেকে উঠেই বিছানা সুন্দর করে গুছিয়ে রাখুন। সারা দিন পরিশ্রম করার পর বাড়ি ফিরে ঘর অপরিষ্কার দেখলে মেজাজ আরও খারাপ হয়ে যায়। তাই খাটের ওপর তোয়ালে, ঘরের এক পাশে নোংরা মোজা, অগোছালো ড্রেসিং টেবিল রাখার অভ্যাস সবার আগে বদলে ফেলুন।
রং
শোবার ঘরে উজ্জ্বল রং ব্যবহার বাড়িয়ে তুলুন। রং ওঠা চাদর, পর্দা, টেবিল কভার, কুশান কভার সবার আগে বাদ দিন। লাল, গোলাপি, নীলের মতো উজ্জ্বল রঙের চাদর পেতে রাখতে পারেন। হালকা রং পছন্দ হলে সাদা কিংবা প্যাস্টেল শেডের চাদরও বেছে নিতে পারেন। বিছানার ওপর কয়েকটি নরম বালিশ, বিছানার চাদরের সঙ্গে মানানসই রঙের কমফর্টার রাখতে পারেন।








































