• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তুরস্ক থেকে ৫ কমান্ডারকে নিয়ে দেশে ফিরলেন জেলেনস্কি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৩, ০৩:৩২ পিএম
তুরস্ক থেকে ৫ কমান্ডারকে নিয়ে দেশে ফিরলেন জেলেনস্কি

সম্প্রতি তুরস্ক সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফেরার সময় ইউক্রেনের মারিউপোল সেনাশিবিরে (গ্যারিসন) কর্মরত ছিলেন সাবেক পাঁচ কমান্ডারকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। আত্মসমর্পণের পর বন্দী হিসেবে তাদের তুরস্কে পাঠানো হয়েছিল। ঘটনাটিকে কিয়েভের জন্য একটি বড় ধরনের প্রতীকী অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।  শনিবার ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ৫০০তম দিন। এদিনই জেলেনস্কি তুরস্ক থেকে ইউক্রেনের সাবেক পাঁচ কমান্ডারকে নিয়ে দেশে ফেরেন। যদিও ইউক্রেনের সাবেক কমান্ডারদের এখনই কেন দেশে ফিরতে দেওয়া হলো, তার কোনো ব্যাখ্যা দেননি জেলেনস্কি। এ বিষয়ে তুরস্কের পক্ষ  থেকেই কিছুই জানানো হয়নি।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শনিবার বলেছেন, বন্দীবিনিময় চুক্তির আওতায় এসব ব্যক্তিকে তুরস্কে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আঙ্কারা। এ ঘটনা গত বছর হওয়া বন্দীবিনিময় চুক্তির লঙ্ঘন। ইউক্রেনের সাবেক পাঁচ কমান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি মস্কোকে জানানো হয়নি। ইউক্রেনীয় সাবেক কমান্ডারদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কেউ মস্কোকে অবহিত করেনি। চুক্তি অনুসারে, এসব কমান্ডারকে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তুরস্কে থাকার কথা ছিল।

গত বছর মারিউপোলের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় থেকে তিন মাসের তুমুল প্রতিরোধ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এসব কমান্ডার। এর জেরে তারা ইউক্রেনে বীর হিসেবে পরিচিতি পান। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকে মারিউপোলে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। সেখানে রুশ হামলায় হাজারো বেসামরিক লোক নিহত হন। একপর্যায়ে ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ যোদ্ধারা মারিউপোলের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানার নিচের টানেল ও বাঙ্কারে আটকা পড়েন। শেষ পর্যন্ত গত বছরের মে মাসে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় কিয়েভ।

আঙ্কারার মধ্যস্থতায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে এখানকার কিছু বন্দীকে বিনিময় করে মস্কো। তবে চুক্তিতে শর্ত ছিল, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনীয় এসব কমান্ডারকে তুরস্কেই থাকতে হবে। কিন্তু এখন তারা ছাড়া পেয়ে গেলেন।

Link copied!