• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মসজিদ চত্বরের বেজমেন্টে পূজা-অর্চনা শুরু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪, ১০:১৪ এএম
মসজিদ চত্বরের বেজমেন্টে পূজা-অর্চনা শুরু
জ্ঞানবাপি মসজিদ। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসি জেলা আদালত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) নির্দেশ দিয়েছিলেন, জ্ঞানবাপি চত্বরের এক বেজমেন্টে হিন্দুদের পূজা-অর্চনা করার অধিকার রয়েছে। সেই নির্দেশের ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পূজা শুরু হয়ে গেল। বুধবারই রাত তিনটায় মসজিদ চত্বরের সেই ভূগর্ভস্থ কক্ষে (সেলার) পূজা-অর্চনা ও আরতি করা হয়েছে বলে জেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এই পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ও জ্ঞানবাপি মসজিদ বিতর্কের এক নতুন অধ্যায় শুরু হলো। জেলা জজ কৃষ্ণ মোহন পান্ডে তার কর্মজীবনের শেষ দিন বেজমেন্টে পূজার অনুমতি দেন।

মসজিদ কর্তৃপক্ষ জেলা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই রাতারাতি পূজা শুরু হয়ে যায়।

হিন্দুদের দাবি অনুযায়ী কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের মূল গর্ভগৃহ ছিল বিশাল। মোগল আমলে সেই গর্ভগৃহে প্রাচীর তুলে কয়েকটি কক্ষ তৈরি হয়। তার ওপরেই খাড়া করা হয় জ্ঞানবাপি মসজিদ। সেই কক্ষগুলোর একটি ছিল এক ‘ব্যাস’ পরিবারের। ওই কক্ষের পরিচিতিও তার নামেই—‘ব্যাস জি কি তেহখানা’।

৩০ বছর আগে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর উত্তর প্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের শাসনামলে ওই তেহখানায় পূজা-অর্চনা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলা আদালত। মসজিদের অভ্যন্তরে হিন্দু দেবদেবীর নিত্য–আরাধনার দাবিতে মামলাকারীদের অন্যতম আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘এত দিনে এক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো।’

মসজিদ কমিটির পক্ষে আখলাখ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ওই বেজমেন্টে ‘ব্যাস’ পরিবার কোনো দিন পূজা করেনি। সেখানে কোনো মূর্তিও কোনো দিন ছিল না। বেজমেন্টটিও রয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষের হাতে। যা হচ্ছে, তা অন্যায়।

হিন্দুদের দাবি, মসজিদ চত্বরে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গের’ জরিপ করা হোক।

মুসলমানদের দাবি, হিন্দুরা যাকে ‘শিবলিঙ্গ’ বলছেন, সেটা একটি ফোয়ারা। মসজিদের অজুখানা ওই চত্বরে।

Link copied!