• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বেলারুশে নির্বাসনে ওয়াগনার প্রধান, সেনা সদর দপ্তর ছেড়েছে সৈন্যরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩, ১০:১২ এএম
বেলারুশে নির্বাসনে ওয়াগনার প্রধান, সেনা সদর দপ্তর ছেড়েছে সৈন্যরা

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে নাটকীয় লড়াইয়ে লিপ্ত হওয়ার পর ভাড়াটে আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের সঙ্গে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন এবং তার সৈন্যদের বিচার করা হবে না। প্রিগোঝিন বেলারুশে নির্বাসনে যাবেন।

ইতোমধ্যে প্রিগোঝিন তার সৈন্যদের নিয়ে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ও সেনা সদর দপ্তর রোস্তভ-অন-ডন ত্যাগ করেছেন।

রোববার (২৫ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ক্রেমলিনের সামরিক নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রা বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল আগেই। আর এবার রাশিয়া ছাড়ছে ভাড়াটে ওয়াগনার।

এর আগে শনিবার সকালে ওয়াগনার সৈন্যরা রোস্তভ-অন-ডনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং মস্কোর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তাদের এই সশস্ত্র বিদ্রোহকে বিশ্বাসঘাতকতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের কাজ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনী যে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছেন সেটি রোস্তোভের এই সদর দপ্তর থেকেই পরিচালনা করা হতো। ওয়াগনার সেনারা যেন কোনোভাবেই মস্কোতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সেখানে আগেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। মস্কোর বিখ্যাত রেড স্কয়ারে লোহার ব্যারিকেডও দেওয়া হয়।

পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রেসিডেন্ট পুতিন শনিবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এতে তিনি প্রিগোঝিন ও তার বাহিনীকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে অভিহিত করেন এবং বিদ্রোহ বন্ধ করার আহ্বান জানান।

রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানান, ওয়াগনার বাহিনীর বহরটি প্রথমে রোস্তোভ থেকে ভোরোনেজে আসে। এরপর সেখান থেকে মস্কোর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। আর ঠিক তখনই হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোঁড়া হয়। ওই বহরটিতে সাঁজোয়া যান এবং অন্তত একটি ট্যাংক ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এই শহরটি মস্কো থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্মতিতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। কারণ তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ব্যক্তিগতভাবে প্রিগোঝিনকে চেনেন।

দিমিত্রি পেসকভ বলেন, সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্য প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে যে ফৌজদারি মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল তা বাতিল করে দেওয়া হবে এবং যে ওয়াগনার যোদ্ধারা তার ‘মার্চ ফর জাস্টিস’-এ অংশ নিয়েছিলেন তাদেরও কোনো ধরনের পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে না। অতীতে রাশিয়ার প্রতি তাদের সেবার স্বীকৃতি হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে যে সমস্ত যোদ্ধা এই মার্চে অংশ নেয়নি তারা রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মূলত আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত সকল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে তার নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে।

Link copied!