• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সম্পর্ক উন্নয়নে ব্লিঙ্কেনের পর এবার চীন সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৩, ০১:১৮ পিএম
সম্পর্ক উন্নয়নে ব্লিঙ্কেনের পর এবার চীন সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী

চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এখন বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য, প্রযুক্তি, আঞ্চলিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বড় ধরনের মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। এতো কিছুর পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন চীনের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা বন্ধ করবেন না জানিয়েছিলেন।

এরই অংশ হিসেবে গত জুন মাসে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে দুই দিনের সফরে বেইজিং যান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো মার্কিন কূটনৈতিক কর্মকর্তার এটি প্রথম চীন সফর ছিল।

সেই সফরের রেশ কাটতে না কাটতেই দেশটির সঙ্গে ভঙ্গুর অর্থনৈতিক সম্পর্ক মেরামতে এবার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি বা অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনে এ সপ্তাহে বেইজিং সফর করবেন বলে জানিয়েছে উভয় দেশ।

সোমবার (৩ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়,

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইয়েলেন ৬ থেকে ৯ জুলাই বেইজিং ভ্রমণ করবেন। সোমবার সকালে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে এ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইয়েলেন দুই দেশের সম্পর্ক এবং উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে সরাসরি আলোচনার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে জুনে চীন সফর করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বেইজিং সফরের সময় তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, নেতৃস্থানীয় কূটনীতিক ওয়াং ই এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এর কয়েক সপ্তাহ পরই চীন ছুটছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী। ব্লিঙ্কেনের সফরে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেনো সংঘর্ষে না পরিণত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য শির সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্ট শিকে ‘স্বৈরশাসক’ অ্যাখ্যা দিলে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল চীন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মন্তব্যটি সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টায় খুব কমই প্রভাব ফেলেছিল।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বেইজিংয়ে ইয়েলেন জ্যেষ্ঠ চীনা কর্মকর্তা এবং নেতৃস্থানীয় মার্কিন সংস্থার সঙ্গে দেখা করবেন। এ ছাড়া ইয়েলেন চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লাইফংয়ের সঙ্গেও তিনি দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

চীনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা এবং গুপ্তচরবৃত্তি আইন ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এই আইনের ফলে বিদেশি এবং মার্কিন সংস্থাগুলো প্রভাবিত হতে পারে বলে আশংকা করছে ওয়াশিংটন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “নতুন এই আইন কীভাবে প্রযোজ্য হতে পারে তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে।”

কোভিড-১৯ মহামারির উৎপত্তি থেকে শুরু করে জিনজিয়াংয়ের মুসলিম উইঘুরদের ওপর দমনপীড়ন, বাণিজ্য ও সরবরাহ চেইন সংক্রান্ত জটিলতার পাশাপাশি স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও বেইজিং-এর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে কথিত চীনা গুপ্তচর বেলুন উড়ে যাওয়ার ঘটনায় অর্থনৈতিক দুই পরাশক্তির মধ্যকার উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

Link copied!