মার্কিন সরকার ইউক্রেনকে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বিরোধিতা করেছে কানাডা ও ব্রিটেনসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মিত্র। ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার ইউক্রেনকে এই বিতর্কিত গণবিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহের বেপরোয়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে দেশটি।
রোববার (৯ জুলাই) তেহরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
কানাডা ও ব্রিটেন বলেছে, তারা ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের ওপর জাতিসংঘের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশ দু’টি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য কিয়েভের হাতে এই অস্ত্র তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করেছে।
কানাডা সরকার শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিটিভিকে বলেছে, “আমরা ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার সমর্থন করি না। এই অস্ত্র ব্যবহারের ফলে বেসামরিক নাগরিকদের বিশেষ করে করে শিশুদের যে ক্ষতি হয় তা বিবেচনা করে অটোয়া এ বোমা ব্যবহারের ইতি টানার পক্ষপাতী।”
অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেছেন, তার দেশ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার সমর্থন করে না। ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে যে চুক্তি হয়েছে তাতে স্বাক্ষর করেছে লন্ডন।
তবে লন্ডন ইউক্রেনকে অন্যান্য উপায়ে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাবে বলে সুনাক ঘোষণা করেন।
এর আগে হোয়াইট হাউজ শুক্রবার জানিয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালাতে সক্ষম করে তুলতে ক্লাস্টার প্যাকেজ সরবরাহ করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এই অস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত ‘অত্যন্ত কঠিন’ হলেও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ‘অস্ত্রশূন্য’ হয়ে পড়ছে বলে সিদ্ধান্তটি নিতে হয়েছে।
মানব সভ্যতার জন্য ঝুঁকি এবং এর ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ অগ্রহণযোগ্য মাত্রা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে ক্লাস্টার বোমা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১০ সালে একটি আন্তর্জাতিক কনভেনশনের মাধ্যমে ক্লাস্টার বোমার উৎপাদন, পরিবহন, মজুদ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। আমেরিকা, রাশিয়া এবং ইউক্রেন ছাড়া বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :