• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

১২৭ টাকায় বিক্রি সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের যুক্তরাজ্য শাখা!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৩, ০৫:১৪ পিএম
১২৭ টাকায় বিক্রি সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের যুক্তরাজ্য শাখা!

যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধ হয়ে যাওয়া সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের (এসভিবি) যুক্তরাজ্য শাখা মাত্র ১ পাউন্ড বা ১২৬ টাকা ৫৭ পয়সায় কিনে নিয়েছে এইচএসবিসি ব্যাংক। সোমবার (১৩ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

পুনরুদ্ধার (রেসকিউ ডিল) চুক্তির আওতায় নামমাত্র মূল্যে ব্যাংকটি বিক্রি করা হয়েছে বলে আজ জানিয়েছে দেশটির সরকার ও এইচএসবিসি ব্যাংক। যুক্তরাজ্যের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে চুক্তিটি করা হয়।

এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ সরকার বলেছে, এসভিবি-ইউকে শাখা সোমবার এইচএসবিসির কাছে বিক্রি করা হয়েছে। ব্যাংক ইংল্যান্ডের সহযোগিতায় এবং কোষাগারের পরামর্শে এই লেনদেন হয়েছে।

ব্যাংকের সব গ্রাহকের আমানত সুরক্ষিত আছে উল্লেখ করে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, “এখানে কোনো নগদ সরকারি অর্থ জড়িত নেই। এই চুক্তির ফলে ক্রেতাদের আমানত সুরক্ষিত হয়েছে এবং স্বাভাবিকের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় হবে না। এত সংক্ষিপ্ত সময়ে একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারার জন্য আমি আনন্দিত।”

পৃথক এক বিবৃতিতে এইচএসবিসি বলেছে, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের যুক্তরাজ্যের (এসভিবি-ইউকে) ব্যবসার জন্য তারা মাত্র এক পাউন্ড পরিশোধে সম্মত হয়েছে। এসভিবি-ইউকে শাখার ঋণের পরিমাণ ৫.৫ বিলিয়ন পাউন্ড এবং আমানতের পরিমাণ ৬.৭ বিলিয়ন পাউন্ড।

এর আগে শুক্রবার বন্ধ হয়ে যায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। বর্তমানে ওই ব্যাংকের গ্রাহকদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আটকে গেছে। তবে মার্কিন সরকার নিশ্চয়তা দিয়েছে গ্রাহকদের সঞ্চিত অর্থ তারা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বৃহস্পতিবার জানায়, তারা নগদ অর্থ জোগাড়ে লসে কিছু বন্ড বিক্রি করে দিয়েছে। এছাড়া নগদ অর্থ জোগাড় করতে বাজারে আরও ২ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এমন ঘোষণার পরই ব্যাংকটির গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। তারা গণহারে অর্থ উত্তোলন শুরু করেন। এতে একপর্যায়ে ব্যাংকটিতে ধস নামে।

এদিকে সিলিকন ভ্যালি ও সিগনেচার ব্যাংকের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাশাপাশি জানিয়েছে, সব গ্রাহক তাদের অর্থ ফেরত পাবেন।

সোমবার মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা যেন তাদের সঞ্চিত অর্থ ফিরে পান সেজন্য অর্থমন্ত্রী জানেত ইয়েলেন এবং অর্থ উপদেষ্টা লায়েল ব্রেইনার্ড রোববার জো বাইডেনের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক মন্দা শুরু হয়েছিল। সে সময় দেশটির ছোট-বড় অনেক ব্যাংক একের পর এক দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। সেই মন্দা পরিস্থিতির ১৫ বছর পর এই প্রথম শীর্ষস্থানীয় কোনো ব্যাংকের এমন আকস্মিক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটল যুক্তরাষ্ট্রে।

Link copied!