• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ছয় মাস পর কারামুক্ত হলেন খায়রুল কবির খোকন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
ছয় মাস পর কারামুক্ত হলেন খায়রুল কবির খোকন
কারাফটকের বাইরে খোকনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন নেতাকর্মীরা। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ছয় মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন।

বুধবার (৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্ত হন।

এ সময় কারাফটকের বাইরে খোকনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুরে এলাহীসহ অন্য নেতাকর্মীরা।

এর আগে গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাতে রাজধানীর একটি বাসা থেকে খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী মাইন উদ্দিন ভূঁইয়াকে সিনিয়র সহসভাপতি পদ দেওয়া হয়। এতে তার অনুসারী নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দেন এবং পরে ভাঙচুর করেন। এরপর কমিটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন পদবঞ্চিতরা।  

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ বিকেলে ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতারা ছাত্রদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে শতাধিক মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা বিএনপির চিনিশপুরের অস্থায়ী কার্যালয়ের সড়কে যাওয়ার পর দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বহিষ্কৃত নেতা ছাদিকুর রহমান ও তার অনুসারী আশরাফুল হক (২২)।  

পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহত ছাদিকুরের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, তার স্ত্রী শিরিন সুলতানাসহ জেলা বিএনপির ৩০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।  

ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন খোকন। গত বছরের ২৭ জুলাই তার জামিনের মেয়াদ শেষে হয়ে যাওয়ার পর খোকন আদালত থেকে আর স্থায়ী জামিন নেয়নি। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৫ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিক খায়রুল কবির খোকনকে ঢাকায় তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। সে থেকে কারাগারেই ছিলেন তিনি।

Link copied!