• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

টানেলে আটকা শ্রমিকদের কাছে যেতে দূরত্ব বাকি ১৮ মিটার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৩, ০৫:৪৬ পিএম
টানেলে আটকা শ্রমিকদের কাছে যেতে দূরত্ব বাকি ১৮ মিটার
টানেলে আটকে পরা শ্রমিকদের উদ্ধার কাজে উদ্ধারকর্মীরা। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উত্তরাখণ্ডের টানেলে আটকে পরা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে আর মাত্র ১৮ মিটার দূরত্ব বাকি। উদ্বারকারীরা ১৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারলেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে শ্রমিকদের। এ কাজে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

বুধবার (২২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

উত্তরাখণ্ডের সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা মাহমুদ আহমেদ বলেন, “শ্রমিকরা প্রায় ৫৭ মিটার গভীরে আটকে আছে। তাদের উদ্ধারের জন্য ৩৯ মিটার পর্যন্ত টানেল খোঁড়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভালো খবর হচ্ছে, আর মাত্র ১৮ মিটার কাজ বাকি আছে।”  

উদ্ধার কাজ বর্তমানে ১১ দিনে গড়ালো। মাহমুদ আহমেদ জানান, খোঁড়ার কাজ এবং পাইপ ঢোকাতে গিয়ে বেশি সময় ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, আটকে পড়াদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা অনেক সময়সাপেক্ষ ও জরুরি। তবে এ সংযোগ তৈরির জন্য প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লেগেছে।”

তিনি আরও বলেন, “টানেলের ২১ মিটার ভিতরে ৮০০ মিলিমিটারের একটি পাইপ সংযুক্ত করা হয়েছে। যদি আর কোনো বাধার সৃষ্টি না হয়, তাহলে আজ রাত বা আগামীকাল সকালের মধ্যে ভালো কোনো খবর পেয়ে যাবেন। আমরা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে লোহার রড পেয়েছি। তবে আমরা খুশি যে সেটি আমাদের কাজে কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি।”

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য সব ধরনের সহায়তা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তারা বেশি সময় দিতে রাজি নয়।

সোমবার (২০ নভেম্বর) নির্মাণাধীন এই টানেলটিতে আটকে পরার ৯ দিন পর ৬ ইঞ্চি প্রশস্ত পাইপ ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করাতে সক্ষম হন উদ্ধারকারী দল। এর কিছুক্ষণ পরই পাইপটির সাহায্যে শ্রমিকদের কাছে বোতল দিয়ে গরম খাবার পাঠান তারা।

গত ১২ নভেম্বর ভোরে উত্তরাখণ্ডের নির্মাণাধীন এই টানেলের ভেতরে ধস নামলে সেটির কাঠামো ভেঙে যায়। কর্মরত শ্রমিকরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন। ধ্বংসাবশেষ টানেলে পড়ে যাওয়ায় এবং বারবার ভাঙন হওয়ায় উদ্ধার কাজ অনেকটা ধীর ও জটিল হয়ে পরে। সূত্র: এনডিটিভি।

Link copied!