মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে ২০৪৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি (ভ্যালেন্টাইন্স ডে) পৃথিবীর সঙ্গে নতুন আবিষ্কৃত একটি গ্রহাণুর সংঘর্ষের ‘ছোট সম্ভাবনা’ রয়েছে।
মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ১ কোটি ১০ লাখ মাইলের বেশি দূরে রয়েছে।
নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কো-অর্ডিনেশন অফিসের তথ্যানুসারে, নতুন আবিষ্কৃত গ্রহাণুটি মোটামুটিভাবে একটি অলিম্পিক সুইমিংপুলের আকারের। ২৩ বছর পর এর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের একটি ‘ছোট সম্ভাবনা’ রয়েছে।
তাদের মতে, পৃথিবীর সঙ্গে এই সংঘর্ষের সম্ভাব্য তারিখ ২০৪৬ সালের ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি।
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির ডেটা অনুযায়ী, গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আঘাত হানার ৬২৫টি সম্ভাবনার মধ্যে একটি সম্ভাবনা রয়েছে।
টোরিনো ইমপ্যাক্ট হ্যাজার্ড স্কেল অনুসারে ‘২০২৩ ডিডব্লিউ’ নামে এই গ্রহাণুটি নাসার ঝুঁকি তালিকায় একমাত্র বস্তু, যা ১০ স্কেলের মধ্যে ১ নাম্বারে রয়েছে। পৃথিবীর সঙ্গে কোনো বস্তুর সংঘর্ষের সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় নাসা এই শ্রেণিবিন্যাস করে থাকে। অন্যান্য সব বস্তু টরিনো স্কেলে শূন্যতে অবস্থান থাকে।
জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি অনুযায়ী, র্যাঙ্কিংয়ে ১ নাম্বারে অবস্থানের অর্থ হলো ‘সংঘর্ষের সম্ভাবনা খুবই কম। এতে জনসাধারণের মনোযোগ কিংবা উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। আর শূন্য র্যাঙ্কিং মানে হলো ‘সংঘর্ষের সম্ভাবনা শূন্য।’
ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির নেভিগেশন প্রকৌশলী ডেভিড ফার্নোচিয়া বলেন, “এই বস্তুটি উদ্বেগজনক নয়।”
তবে নাসার কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, এই সম্ভাবনা নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। ২০২৩ ডিডব্লিউ গ্রহাণুটিকে আরও পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। যখন কোনো নতুন বস্তু আবিষ্কৃত হয়, তখন সেটা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে কয়েক সপ্তাহের ডেটা লাগে।
আপনার মতামত লিখুন :