ভারতের রাজস্থান রাজ্যের কোটার সব হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে স্প্রিং দেওয়া ফ্যান লাগানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসক জানান, এই ধরনের পাখায় ঝুলে কোনো ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা করলে পাখাটি খুলে পড়ে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যায় মৃত্যু হ্রাস পাবে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় আনন্দবাজার পত্রিকা।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, প্রতিবছরই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য পেতে কোটার কোচিং সেন্টারগুলোতে অসংখ্য শিক্ষার্থী ভর্তি হন। অভিযোগ আছে যে পড়াশোনার চাপে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত কোটায় ২২ জন ছাত্র আত্মহত্যা করেন।
সম্প্রতি বাল্মীকি জাঙ্গিদ (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ কোটার এক হোস্টেল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, জয়েন্ট এন্ট্রান্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ভালো ফল করে আইআইটিতে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে ছিল তার। কিন্তু সফল হতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
কোটার হোস্টেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ২০১৫ সাল থেকেই এই নির্দেশ জারি রয়েছে। এ পর্যন্ত ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ হোস্টেলে স্প্রিং দেওয়া পাখা লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওই পাখাগুলোতে একটি বৈদ্যুতিক বিপদ ঘণ্টা থাকবে বলেও জানান তিনি। এর ফলে কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করল সতর্ক সংকেত পৌঁছে যাবে হোস্টেল প্রশাসনের কাছে।
তবে এভাবে আত্মহত্যা থামানো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।