ইউক্রেনে রেস্তোরাঁয় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৮

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ক্রামতোর্স্ক শহরের কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। এতে শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। হামলার পরপরই রেঁস্তোরার ভবনটি ধসে পড়ে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে রয়েছেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার (২৮ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র একটি রেস্তোরাঁ ও শপিং এলাকায় আঘাত হানে। শহরটি ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কিন্তু রুশ অধিকৃত অঞ্চলের খুব কাছেই।

ধ্বংসস্তূপ থেকে যাদের মৃতদেহ টেনে আনা হয়েছে তাদের মধ্যে দুজনের বয়স ১৫ বছর এবং অন্যজনের বয়স ১২ বছর। ইউক্রেনীয় জরুরী পরিষেবা জানিয়েছে, হামলায কমপক্ষে ৫৬ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে এখনো আটকা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, তিনি নিহত মানুষ দেখেছেন। এছাড়া অনেকে চিৎকার করছেন এবং কাঁদছেন।

নিহতদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক মেয়েও আছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, যেখানে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে ভবনও আছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ড্রোন ফুটেজে ভবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে আট মাসের এক শিশু ও তিনজন বিদেশি আছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ওই এলাকায় বেসামরিক লোকজনের সংখ্যা বেশি ছিল।

আঞ্চলিক গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো ইউক্রেনের টেলিভিশনকে বলেছেন, “এটি শহরের কেন্দ্রস্থল। স্থানটি ছিল বেসামরিক লোকজনের খাওয়ার জায়গা।”

এদিকে হোয়াইট হাউস ইউক্রেনের উপর ‘নিষ্ঠুর হামলার’ জন্য রাশিয়ার নিন্দা করেছে।

প্রায় দেড় লাখ জনসংখ্যার এ শহরটি ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা বৃহত্তম শহরগুলোর মধ্যে একটি। গত বছরের এপ্রিলে শহরের রেলওয়ে স্টেশনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ক্রামতোর্স্কে ৬০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।