• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

রাফাহ আবারও হামলা ইসরায়েলের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৮:৫৯ এএম
রাফাহ আবারও হামলা ইসরায়েলের
৮ অক্টোবর রাফাহে ইসরায়েলের হামলার পরপরই বেশ কয়েকটি ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ছবি: এএফপি

যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় নিরাপদ অঞ্চল বলে ঘোষণা করা হয়েছিল মিসর সীমান্ত সংলগ্ন রাফাহকে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল প্রায় ১৪ লাখ মানুষ। এবার সেই রাফাহে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি)  সেখানে বিমান হামলা চালায় দেশটি। এমন সময়ে এই হামলা চালানো হলো যখন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে শান্তি আলোচনা চলছে।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তেজনা বেড়েছে লোহিত সাগরে। সেখানে দুটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ফ্রান্স। এ ছাড়া হুতিদের স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

রাফাহে ইসরায়েল অভিযান চালাবে—সেই ঘোষণা বেশ আগেই দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখানে স্থলবাহিনী পাঠাতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও এই রাফাহ শহরেই এখন প্রায় ১৪ লাখ শরণার্থীর বসবাস। এই পরিস্থিতিতে সেখানে অভিযান না চালানোর আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। তবে এই আহ্বান উপেক্ষা করে গতকাল সেখানে বিমান হামলা চালানো হয়।

বুধবার রাতেও রাফাহ এলাকায় শরণার্থীশিবিরে হামলা চালায় ইসরায়েল। সেখান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপির এক সাংবাদিক জানান, বুধবার রাতের পর গতকাল ভোরের দিকেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ওই এলাকায় বসবাসরত রামি আল-শায়ের বলেন, ‘আমি বিস্ফোরণের শব্দে উঠি। মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। আগুন, ধোঁয়া এবং ধুলোয় ভরে গেছে পুরো এলাকা।’

এর আগে, গত ১১ ফেব্রুয়ারিও রাফাহে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। সে সময় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী জানিয়েছিল, তারা হামাসের বেশ কয়েকটি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু সেই হামলায় হামাসের আদৌ কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল কি না তা জানায়নি ইসরায়েল। তবে সেই হামলায় দক্ষিণ রাফাহের শাবোরা এলাকায় অন্তত ৫২ জন নিহত হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯৭ জন মারা গেছে। গত ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর এ নিয়ে ২৯ হাজার ৪১০ জন মারা গেল। নিহতদের ৭০ শতাংশেরই বেশি শিশু ও নারী। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৭০ হাজারের বেশি।

এদিকে গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তাল হয়েছে লোহিত সাগর। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আত্মরক্ষার জন্য তারা ইয়েমেনের হুতিদের স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হুতিরা যেখান থেকে জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে সেখানে হামলা চালানো হয়েছে।

তবে এই হামলার পরপরই ইয়েমেনের উপকূলে এডেন উপসাগরে একটি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটেছে। জাহাজটি যুক্তরাজ্যের বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাহাজটি থাইল্যান্ড থেকে লোহিত সাগরের দিকে আগাচ্ছিল।

অপরদিকে ফিলিস্তিনি নারীরা ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে, গাজায় নির্বিচার আটক, দমনপীড়নের ঘটনা ঘটেছে—জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এমন অভিযোগ তোলার পর নতুন অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল। দেশটির অ্যাসোসিয়েশন অব রেপ ক্রাইসিস সেন্টার গত বুধবার অভিযোগ করেছে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় বেসামরিক ইসরায়েলিরা পদ্ধতিগত যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।

এর আগে, গত সপ্তাহে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তা শিগগিরই তদন্তের আহ্বান জানান। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই দেশও গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

Link copied!