• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নিখোঁজ সাবমেরিনের ৫ আরোহীর জন্য ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩, ০৩:৫৩ পিএম
নিখোঁজ সাবমেরিনের ৫ আরোহীর জন্য ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পর্যটকদের সমুদ্রের তলদেশে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি সাবমেরিন আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ হয়েছে। অনুসন্ধান দলগুলো ওই সাবমেরিনের সন্ধানে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন। তবে এখনো এটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, সাবমেরিনটিতে আর মাত্র ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন অবশিষ্ট রয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। রোববার সমুদ্রের নিচে যাওয়ার ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। সাবমেরিনটিতে সাধারণত চার দিনের জরুরি অক্সিজেন থাকে। ফলে সময় যত গড়াচ্ছে নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে।

সাবমেরিনটিকে খুঁজে পেতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার উদ্ধারকারী দলগুলো কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মুগের বলেছেন, এমন একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনুসন্ধান চালানো অনেক চ্যালেঞ্জিং। আমরা ধারণা করছি এ মুহূর্তে ৭০ থেকে ৯৬ ঘণ্টা সময় (অক্সিজেন) আছে। নিখোঁজ সাবমেরিনটি আকারে একটি ট্রাকের সমান। পাঁচজন যাত্রী বহনে সক্ষম এতে সর্বোচ্চ চার দিনের জরুরি অক্সিজেন মজুদ থাকে।

বিবিসি জানিয়েছে, নিখোঁজ ওই সাবমেরিনটিতে পাঁচজন যাত্রী রয়েছেন। পাঁচজনের মধ্যে দুই পাকিস্তানি রয়েছেন। তারা হলে- ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান। ৫৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ ধনকুবের ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং, ফরাসি অভিযাত্রী পল-হেনরি নারজিওলেটও ছিলেন। ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী স্টকটন রাশও রয়েছেন।

পর্যটকরা সাবমার্সিবল ব্যবহার করে সাগরের তলদেশে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান। ওশানগেট এক্সপেডিশন্স নামের একটি বেসরকারি কোম্পানি জনপ্রতি আড়াই লাখ মার্কিন ডলারে আট দিনের প্যাকেজে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যায়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকারও বেশি। সাবমেরিনটি সমুদ্রের ৩ হাজার ৮০০ মিটার গভীরে যেতে পারে। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে রয়ে গেছে টাইটানিক।

১৯১২ সালে দুই হাজার ২০০ যাত্রী নিয়ে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হয়ে বরফখন্ডের আঘাতে ডুবে যায় ঐতিহাসিক জাহাজ টাইটানিক। দেড় হাজার যাত্রীর করুণ মৃত্যু হয়। ১৯৮৫ সালে এসে জাহাজটির সন্ধান মেলে। এরপর থেকেই এটি নিয়ে আগ্রহ দুনিয়াজোড়া।

Link copied!