ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করা ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের একমাত্র ‘ক্রিমিয়া সেতুতে’ সোমবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২ জন নিহত হয়েছেন। এর আগে জরুরি পরিস্থিতি উল্লেখ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া ক্রিমিয়ার পার্লামেন্টের প্রধান এই ঘটনার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ইউরোপের বৃহত্তম এই সেতুটি ক্রিমিয়ান উপদ্বীপকে রাশিয়ার ক্রাসনোদার অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সোমবার সেতুটিতে ভোর ৩টা ৪ মিনিট এবং ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। হামলায় সেতুর একাধিক স্প্যানের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের। সেতুর সড়কেও বেশ ক্ষতি হয়েছে।
রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর জানিয়েছেন, সোমবার ক্রিমিয়া সেতুতে দুর্ঘটনায় গাড়িতে থাকা এক দম্পতি নিহত এবং তাদের মেয়ে আহত হন। তারা নভোস্কোলস্কি জেলার বাসিন্দা।
১২ মাইল (১৯ কিলোমিটার) দীর্ঘ এই সড়ক ও রেল সেতুটি গত বছরের অক্টোবরেও একটি বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ক্রেমলিন সে সময় বলেছিল, ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা বাহিনী ওই হামলা চালিয়েছিল। অবশ্য কয়েক মাস পর ইউক্রেন পরোক্ষভাবে ওই হামলার কথা স্বীকার করে।
ক্রিমিয়ার গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ এবং ক্রাসনোদর অঞ্চলের গভর্নর ভেনিয়ামিন কনড্রাটিয়েভ বলেছেন, সেতুতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তাদের উভয় অঞ্চলেই অপারেশনাল সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়েছে।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের রাশিয়ান-সমর্থিত প্রশাসন বাসিন্দাদের সেতু দিয়ে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়। তবে এটি এখনো আন্তর্জাতিকভাবে ইউক্রেনের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। রাশিয়া কর্তৃক ক্রিমিয়া দখলের চার বছর পর ২০১৮ সালে সেতুটির উদ্বোধন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আপনার মতামত লিখুন :