• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩০, ১৩ শা'বান ১৪৪৬

বাড়ছে ডিজেলের দাম


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০৯:১২ এএম
বাড়ছে ডিজেলের দাম
ছবি : সংগৃহীত

১০ জানুয়ারি রাশিয়ার তেল উৎপাদক ও ট্যাংকারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। ফলে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ডিজেলের দাম। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয় বহনে রাশিয়ার রাজস্ব সংকুচিত করতে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য ও এলএসইজি তথ্যের ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পদক্ষেপ সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকট সৃষ্টি করবে।

বৃহস্পতিবার প্রথম মাসের ইউরোপীয় ডিজেল বেঞ্চমার্ক চুক্তির প্রিমিয়াম ছয় মাসের চুক্তির তুলনায় প্রতি টনে ৫০.২৫ ডলার বেড়ে ১০ মাসের উচ্চতায় পৌঁছেছে। এলএসইজি তথ্য অনুযায়ী, ডিজেল পরিশোধন মার্জিন প্রতি ব্যারেলে ২০ ডলারে পৌঁছেছে, যা পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। যুক্তরাষ্ট্রে ডিজেল ফিউচার ১০ জানুয়ারি ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার প্রতি ব্যারেলে ১১১ ডলারে পৌঁছায়, যা ছয় মাসের সর্বোচ্চ। তবে উত্তর গোলার্ধের শীতকালীন আবহাওয়াও ডিজেলের বাজারকে কিছুটা স্থিতিশীল রেখেছে। এশীয় ডিজেল পরিশোধন মার্জিন সোমবার ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেলে ১৭ ডলার ছাড়িয়ে যায়, যা সেপ্টেম্বরের পর সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি। তবে বৃহস্পতিবার তা ১৬.৫০ ডলারে নেমে আসে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক দুই বাণিজ্য সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ার ডিজেল প্রবাহ কমলেও এশীয় বাজারে সরাসরি বড় প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম।

বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। এনার্জি অ্যাসপেক্টসের বিশ্লেষক নাতালিয়া লোসাদা বলেন, নিষেধাজ্ঞার খবরের পর ডিজেলের দাম বেড়েছে এবং রাশিয়ার ডিজেল রপ্তানি উল্লেখযোগ্য বাধার মুখে পড়েছে। গ্যাজপ্রম নেফট এবং সারগুতনেফতেগাজের পরিশোধনাগার থেকে রাশিয়ার অন্তত দৈনিক ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল ডিজেল রপ্তানি ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

২০২২ সালের পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আগে ইউরোপ রাশিয়ার ডিজেলের শীর্ষ ক্রেতা ছিল। এখন তারা ভারত, মধ্যপ্রাচ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরবরাহের ঘাটতি পূরণ করছে। নতুন নিষেধাজ্ঞায় লক্ষ্যবস্তু করা বেশিরভাগ জাহাজকে একটি কথিত গোপন বহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ভারত ও চীনে তেল সরবরাহ করত। রাশিয়ার তেল আমদানি করে এ দেশগুলোর পরিশোধনাগারগুলো উপকৃত হয়েছে, যা আবার ইউরোপে নিষিদ্ধ। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাজার এ নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে। এফজিই এনার্জির বিশ্লেষক ইউজিন লিন্ডেল বলেন, আমরা মনে করি না যে রাশিয়ার পণ্যের প্রবাহে বড় পরিবর্তন আসবে। একই পরিমাণ সরবরাহ নিষিদ্ধ না হওয়া ট্যাংকারের মাধ্যমে একই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। স্পার্তা কমোডিটিসের বিশ্লেষক জেমস নোয়েল-বেসউইক বলেন, রাশিয়ার প্রধান ডিজেল ক্রেতা তুরস্ক এবং ব্রাজিলকে যদি বিকল্প উৎস খুঁজতে হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে ঝুঁকতে হবে। এটি ইউরোপের ক্রেতাদের জন্য প্রতিযোগিতা আরও বাড়াবে।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!