• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মুহররম ১৪৪৬

ফরিদপুরে মাটি ফেটে বের হচ্ছে ধোঁয়া, শোনা যাচ্ছে শোঁ শোঁ আওয়াজ


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০৪:১৮ পিএম
ফরিদপুরে মাটি ফেটে বের হচ্ছে ধোঁয়া, শোনা যাচ্ছে শোঁ শোঁ আওয়াজ
ঘটনাস্থল। ছবি : প্রতিনিধি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে হাসপাতালের ভেতরে আবাসিক ভবনের পাশে মাটি ফেটে বের হচ্ছে উত্তপ্ত দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়া। বিষয়টি নিয়ে কৌতূহলী ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে এমন দৃশ্য দেখা গেছে জেলার বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা আবাসিক ভবনের পশ্চিম পাশে। প্রায় এক মাস ধরে এভাবে ধোঁয়া বের হচ্ছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল ইউএনও, ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগ পরিদর্শন করেছেন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের পূর্ব-দক্ষিণ কর্নারে অবস্থিত পরিবার পরিকল্পনা কর্মচারীদের আবাসিক ভবনসংলগ্ন একটি বৈদ্যুতিক পিলারের গোড়ার চারপাশে ৭-৮ ফুট জায়গাজুড়ে কয়েকটি গর্ত দিয়ে অনবরত ধোঁয়া বের হচ্ছে। আর গর্তগুলোতে ধোঁয়া বের হওয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ হচ্ছে। তার উপরের মাটি অনেকটা উত্তপ্ত হয়ে গাছপালা পুড়ে যাচ্ছে। পাশের হাসপাতালের ড্রেনের পানিতে ফুপড়ি ছাড়ছে। আশেপাশের লোকজন এসব দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। 

আবাসিক ভবনের বাসিন্দারা জানান, প্রায় এক মাস ধরে ভবনটির পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশ দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। প্রথম দিকে সামান্য ধোঁয়া উড়তে দেখা গেলেও বুধবার (৯ জুলাই) থেকে নজরে পড়ার আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বর্তমানে খুব সাবধানতা অবলম্বন করে আমরা চলাফেরা করছি। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে গর্তগুলো ছোট ও ধোঁয়া কম থাকলে বৃষ্টি নামার পর এর প্রশস্ততা ও ধোঁয়ার তীব্রতা বাড়ছে। ধোঁয়া বের হওয়ার সময় গর্তগুলোর মুখ থেকে শোঁ শোঁ আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। প্রথমে সাধারণ আগুনের ধোঁয়া মনে করা হলেও সম্প্রতি বৃষ্টির পর দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়া ও জায়গাটি গরম হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান বলেন, “বিষয়টি দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পল্লী বিদ্যুৎকে জানালে এ ধোঁয়ার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে চলে যান। ধোঁয়াটি ভূগর্ভস্থ কোনো দাহ্য পদার্থের গ্যাসীও ধোঁয়া। পরে বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধোঁয়া উদ্গীরণের সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। আপাতত ওখানে সতর্কতামূলক লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি দেখার পর আমি কয়েকটি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে সেখান থেকে আশানুরূপ কোনো সাড়া পাইনি। তবে কীসের ধোঁয়া বা গ্যাস কিনা এটা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বিশেষজ্ঞরা এলে জানা যাবে।”

Link copied!