• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মুহররম ১৪৪৬

অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম
অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
হুমাইরা আসগর

পাকিস্তানের করাচির একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগরের (৩২) মরদেহ। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে প্রতিবেশীরা পুলিশের কাছে খবর দেন। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে উদ্ধার করে নিথর দেহ।

জানা গেছে, করাচির ইত্তেহাদ কমার্শিয়াল এলাকার ফেজ ৬-এর একটি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রতিবেশীরা ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে সংবাদ দেন।

পুলিশ দরজায় ডেকে সাড়া পাননি। অবশেষে দরজা ভেঙে অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 
অভিনেত্রী হুমাইরার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছিল। আর তারপরেই সেখানে উঠে এসেছে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য। অবশেষে প্রকাশ হলো পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী হুমাইরা আসগর আলির ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। বিস্তারিত রিপোর্টে জানা গেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, পুলিশ যখন অভিনেত্রীর লাশ খুঁজে পায়, তখন তার লাশ পচে যাচ্ছিল। হাঁটু পর্যন্ত গলে গিয়েছিল অভিনেত্রীর। মুখ বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ প্রথমে তার পরিচয়ও বুঝতে পারেনি।

অভিনেত্রীর মোবাইল, ছবি ও অন্যান্য জিনিস দেখে পুলিশ উদ্ধার করে যে এটি হুমাইরা আজগরের মরদেহ।

ফ্ল্যাটে ৬ মাস ধরে পড়েছিল অভিনেত্রী হুমাইরার মরদেহ
পুলিশ জানিয়েছে, পোকা ধরে গিয়েছিল হুমাইরার মরদেহ। লাশ শনাক্ত করাই কঠিন হয়ে পড়েছিল। পুলিশ লাশ শনাক্ত করার পরে ময়নাতদন্তে পাঠায়। আর ময়নাতদন্ত থেকেই উঠে আসে এই সমস্ত বিস্ফোরক তথ্য।

তদন্তে আরও জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে ৬ মাস আগেই। ২ সপ্তাহ নয়, ৬ মাস ধরে ওই বন্ধ ফ্ল্যাটেই পড়েছিল অভিনেত্রীর দেহ। প্রতিবেশীরা কিছু বুঝতেও পারেননি।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, অক্টোবর ২০২৪ সালেই নাকি মৃত্যু হয়েছে হুমাইরার। অক্টোবর মাস থেকেই বিদ্যুতের বিল দেননি হুমাইরা। সেই কারণে তার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পর্যন্ত কেটে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ থেকে করাচির ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন হুমাইরা।

তবে ২০২৪ সালে তিনি ফ্ল্যাটের ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন। সেই কারণে সেই বাড়ির মালিক হুমাইরার বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে, এই সব কিছু জানার আগেই মারা গিয়েছিলেন হুমাইরা। পুলিশ হুমাইরার বাড়িতে খবর পাঠালে ও তার মরদেহ বাড়িতে দিতে চাইলে তা নিতে অস্বীকার করেন তার বাবা।

হুমাইরার বাবা জানিয়েছেন, তার মেয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। দীর্ঘদিন আগেই তারা মেয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছেন। হুমাইরা কোথায় রয়েছে, কেমন আছে কিছুই তারা জানতেন না।

Link copied!