• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

যুদ্ধের ডামাডোলে ইউক্রেনের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৩, ১২:০৮ পিএম
যুদ্ধের ডামাডোলে ইউক্রেনের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরুর পর জারি করা সামরিক আইন অনুযায়ী দেশটিতে এখন প্রেসিডেন্টসহ সব ধরনের নির্বাচন নিষিদ্ধ। পূর্বনির্ধারিত সময় আগামী বছরের মার্চেই নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখে দেশের জনগণের একটা বড় অংশ ক্ষুব্ধ। তারা মনে করছেন, দেশের এ সংকটে নির্বাচন তাদের জাতিগত অস্তিত্বের লড়াইয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করার জন্য সামরিক আইনে পরিবর্তন এনেছে ইউক্রেন। তাতেও ভোটগ্রহণে অনেক বাধা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল নিরাপত্তা ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী।

ইউক্রেনের সংসদ সদস্য ও সার্ভেন্ট অব দ্য পিপলস পার্টির প্রধান ওলেনা শুলিয়াক বলেন, “যুদ্ধের কারণে আমাদের লাখ লাখ মানুষ দেশের বাইরে ও ভেতরে বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা অসম্ভব।”

এছাড়া নির্বাচনে উপকরণগত চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সাধারণত ভোট গ্রহণের জন্য স্কুলগুলোকে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু যুদ্ধের কারণে সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, সামরিক আইনের সীমাবদ্ধতা দূর করা, তহবিল জোগানোসহ আরো অনেক বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে।

চলতি মাসে কিয়েভের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোশিওলজি পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটির প্রায় ৮০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী যুদ্ধের পর নির্বাচন চান। এদিকে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা ২০২৪ সালে নির্বাচনের আয়োজন করা ঠিক হবে না বলে দাবি করে আসছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অস্পষ্ট বিবৃতি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

অন্যদিকে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইউক্রেনের নির্বাচন করার জন্য রিপাবলিকানদের একটি ছোট দল চাপ দিচ্ছে বলে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক ওপোরা জানিয়েছে। সংস্থাটির প্রধান ওলহা আইভাজোভস্কা বলেন, “রিপাবলিকান দলের অনেকে ইউক্রেনকে সমর্থন করে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এটিকে দেশটির বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে না।”

আগস্টে কিয়েভ সফরের সময় রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, “ইউক্রেনকে অবশ্যই ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।”

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এখনও নির্বাচনের বিষয়টিকে সরাসরি নাকচ না করলেও এখন বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছেন। তবে যুদ্ধকালীন নির্বাচন হলে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ‘প্রস্তুত’ আছেন বলে জানান তিনি।

Link copied!