দক্ষিণ আফ্রিকার পাইলট রুডলফ ইরাসমুস চারজন আরোহীকে নিয়ে একটি উড়োজাহাজে ব্লুমফন্টেইন থেকে প্রিটোরিয়ায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ককপিটে একটি বিষাক্ত কেপ কোবরাকে দেখতে পান তিনি। প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরিস্থিতি সামলে মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিরাপদে উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ করিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ককপিটে একটি বিষাক্ত কেপ কোবরাকে দেখে মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিরাপদে উড়োজাহাজের জরুরি অবতরণ করিয়েছেন তিনি। উড়োজাহাজটি ওয়েলকম শহরে জরুরি অবতরণ করে। আর এর জন্য ফ্লাইট বিশেষজ্ঞদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।
যদিও জরুরি অবতরণের পর সাপটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পাইলট রুডলফ ইরাসমুস বলেন, “ককপিটে বসে হঠাৎ করে নিজের পিঠে ঠাণ্ডা কিছু একটা অনুভব করি। প্রথমে ভেবেছিলাম পানির বোতলের ঢাকনা ঠিকমতো না লাগানোয় হয়তো গায়ে পানি পড়েছে। তবে সাথে সাথে নিচে তাকিয়ে দেখতে পাই সিটের নিচে বসে আছে একটি সাপ। উড়োজাহাজের যাত্রীদের এ ব্যাপারে জানাব কি-না তা ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে নেই। পরে মনে হল সাপটি যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। শেষ পর্যন্ত যাত্রীদেরকে বলার সিদ্ধান্ত নেই।”
তিনি আরও বলেন, “শোনার পর যাত্রীরা এক-দুই মুহূর্তের জন্য সবাই নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিলেন। উড়োজাহাজের ভেতরে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছিল, যেন সবাই বরফ হয়ে গেছে।”
ওরচেস্টার ফ্লাইং ক্লাবে কর্মরত দুই ব্যক্তি বলেন, “যেখানে প্লেনটি প্রথম উড্ডয়ন করেছিল, সেখানে তারা আগে বিমানের নীচে আশ্রয় নেওয়া একটি সাপ দেখেছিলেন। তবে সেটিকে ধরার চেষ্টা করলেও সফল হননি তারা।”
৩৮ বছর ধরে বিমান চালনা করছেন ফ্লাইট বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান ইমেনিস। তিনি বলেন, “বিমান চালনার সর্বশ্রেষ্ঠ দক্ষতা প্রদর্শন করেছে পাইলট রুডলফ ইরাসমুস।” তার চার দশকের অভিজ্ঞতায় এমন ঘটনার কথা শোনেননি বলেও জানান তিনি। ।
কেপ কোবরা প্রজাতির এই সাপের কামড়ে মাত্র ৩০ মিনিটে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।