• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পর্যাপ্ত ঘুম কেন জরুরি?


ঝুমকি বসু
প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩, ০৬:৫৪ পিএম
পর্যাপ্ত ঘুম কেন জরুরি?

আমাদের পুরো জীবনটাই দুটো সাইকেলে চলে— স্লিপ আর ওয়েকফুলনেস। ঘুমের ভূমিকা আমাদের শরীরে মূলত দু’রকম, প্রথমটা শারীরিক, দ্বিতীয়টা মানসিক। ঘুমের হিলিং এবং রিপেয়ারিং প্রপার্টিস রয়েছে। ঘুম রক্তচাপ সঠিক রেখে হার্টবিট নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যাদের ঘুম কম হয়, তাদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই হৃদজনিত সমস্যা, কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক ইত্যাদির আশঙ্কা বেশি থাকে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন বারডেম হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম. দেলোয়ার হোসেন।

যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান না, তাদের হার্ট ডিজিজ বা স্ট্রোকের আশঙ্কা, প্রতিদিন ৭—৮ ঘণ্টা ঘুমানো ব্যক্তিদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। গ্লুকোজ মেটাবলিজমেও ঘুমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকায়, ঘুম কম হলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কাও বাড়তে পারে। এ ছাড়া সেক্স হরমোনের (বিশেষত পুরুষদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে টেস্টোস্টেরন হরমোনের কার্যকারিত কমে) ওপরও ঘুম গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।

সাইকোলজিক্যালি দেখা গেছে, ঘুমের সঙ্গে ব্রেইন ফাংকশনের খুব নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। ঘুম মনোসংযোগ, অ্যালার্টনেস, ফোকাস করার ক্ষমতা, কগনিটিভ অ্যাক্টিভিটি এবং পারফরম্যান্সের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই কারণেই অনেকক্ষণ না ঘুমালে, অ্যাক্সিডেন্টের প্রবণতা দেখা দেয়, চোখের সামনে থাকা জিনিসও চোখে পড়ে না, এমনকি মানুষজনের সঙ্গে ইন্টার‌্যাক্ট করতেও ভালো লাগে না। কেউ একটা কথা একবারের বেশি বললেই রাগ হয়, বিরক্তিবোধ হয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। সোশ্যাল বা ইমোশনাল কিউস উপেক্ষা করার প্রবণতাও বাড়ে। অর্থাৎ সামনের মানুষটার কথা বা তার খারাপ লাগা বা ভালো লাগাগুলোও তখন ব্রেইনে রেজিস্টার করে না। শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ এবং স্বাভাবিক থাকতে তাই পর্যাপ্ত ঘুম একান্ত জরুরি।

Link copied!