অনেকেরই ঠোঁটের কোণে জ্বরঠোসা হতে দেখা যায়। এটি হলে ঠোঁটের আশপাশে ছোট ছোট একগুচ্ছ ফুসকুঁড়ি দেখা দেয়। যা প্রচণ্ড ব্যথা ও চুলকানির সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে ফুলে যায় ও অস্বস্তিবোধ হয়। জ্বরঠোসা হলে মুখ খুলে খাবার খেতে,কথা বলা বা হাসতেও কষ্ট হয়। জ্বরঠোসা হওয়ার অনেক কারণ আছে। মিডিসিন বিশেষজ্ঞ ড.শায়লা হক জানান, জ্বরঠোসা হওয়ার কারণ হলো এইচএসভি ১ সংক্রমণ। এই সংক্রমণের ফলে জ্বর আসে। আবার জ্বরের কারণেও জ্বরঠোসা হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
লক্ষণ
- জ্বর
- ব্যথা
- বমিভাব কিংবা বমি
- মাথাব্যথা
- খেতে অসুবিধা হওয়া
- ঠোঁটে জ্বালা করা
- ঠোঁট বারবার শুকনা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
জ্বরঠোসা সারানোর ঘরোয়া উপায়
বরফ
জ্বরঠোসার জায়গায় বরফ ব্যবহার করলে ব্যথা কমে। এজন্য একটি কাপড়ে বরফ মুড়ে ক্ষত স্থানে ৫ মিনিট ধরে রাখুন। তবে ১৫ মিনিটের বেশি দেয়া যাবে না। খেয়াল রাখবেন ত্বকে সরাসরি বরফ লাগালে ক্ষত আরও বাড়তে পারে।
জিংক
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে বাঁধা দিতে জিঙ্ক অক্সাইডের ভূমিকা আছে। এজন্য অবশ্যই জিঙ্ক সালফেট সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। সাময়িক চিকিত্সার জন্য, আপনি দিনে ৪ বার করে ঘা না শুকানো পর্যন্ত জিঙ্ক অক্সাইড ক্রিম প্রয়োগ করতে পারেন।
অরিগানো অয়েল
হারপিসসহ বিভিন্ন ভাইরাসকে বাধা দিতে প্রাকৃতিক এই তেল বিশেষ কার্যকরী। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে পাতলা করে তেল প্রয়োগ করুন। তুলার সাহায্যে অরিগানো তেল দিয়ে সারাদিন কয়েকবার আক্রান্ত স্থানে লাগান।
চা গাছের তেল
টি ট্রি অয়েলও বিভিন্ন প্রদাহ সারাতে কাজ করে। একটি তুলার বলে চা গাছের তেল নিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার জ্বরঠোসায় ব্যবহার করুন। দেখবেন ঘা দ্রুত সেরে যাবে।
আপেল সিডার ভিনেগার
সামান্য আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে তুলার বলে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে কয়েক মিনিটের জন্য ধরে রাখুন।