প্রতিদিন মানুষের অন্তত তিন লিটার পানি খাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। তবে এটি অনেকেরই মেনে চলা সম্ভব হয় না। আর এতে করে দেহে পানির ঘাটতি হয়। ফলে দেহের কোষ পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ক্লান্তি বেড়ে যায় । তাই জেনে নিন কোন কোন সময় পানি পানের অভ্যাস গড়ে তোলা ভালো।
- ঘুম থেকে উঠে একেবারে এক বোতল পানি না খেয়ে এক গ্লাস পরিমাণ পানি পান করা ভালো।
- যখন ঘামছে ঘাম হওয়া মানেই শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যাওয়া। তাই ঘাম হলেই পানি ও তরল খাবার খেয়ে নিন।
- শরীরচর্চার সময় ১০ থেকে ১৫ মিনিট অন্তর ১৫০ থেকে ৩০০ মিলিলিটার পানি পান করা প্রয়োজন। শরীরচর্চা শেষে আরও ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিলিটার পানি পান করতে হবে
- কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে এক গ্লাস পানি পান করে নিন। চা বা কফি নয়,পানি খেলেই তবে সতেজ হয়ে উঠবেন।
- খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজের ফাঁকে একটু পানি খেয়ে নিন।
- খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করতে পারেন। খাওয়া শেষ করার আধা ঘণ্টা পরেও পানি পান করুন।
- খাবার সময় ছাড়াও তো ক্ষুধা লাগে। এই সময়ে পানি পান করতে পারেন। মস্তিষ্কে তৃষ্ণার অনুভূতিও অনেক সময় ক্ষুধার মতো মনে হতে পারে। পানি পান করে দেখুন। কয়েক মিনিট পর ভালো অনুভূতি হবে।
- মাথাব্যথা করলে পানি পান করুন। পানিশূন্যতাও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে অনেক সময়। বিশেষত যাদের মাইগ্রেনের ব্যথা রয়েছে তাদের অবশ্যই নিজের সঙ্গে পানির বোতল রাখা উচিত সব সময়। এছাড়া জ্বর, বমি কিংবা পাতলা পায়খানা হলে সবারই পানি পান করতে হবে।
- ঋতুস্রাবের আগে এবং ঋতুস্রাবের সময় অনেকেই অস্বস্তিকর অনুভূতিতে ভোগেন। মাথাব্যথা হয়, তলপেটেও ব্যথা হয়। পর্যাপ্ত পানি পানে এসব সমস্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।
- বিমান ভ্রমণের সময় বিমানের পারিপার্শ্বিকতার কারণে আপনি পানিশূন্য হয়ে পড়তে পারেন। তাই বিমানে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
আপনার মতামত লিখুন :